নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে বোনাস লভ্যাংশ পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জাহিন স্পিনিং লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের জন্য ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ বিও হিসাবে পাঠিয়েছে গত ২৭ ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে এক দশমিক ১৫ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৩ লাখ ৮৮ হাজার ২৮৭টি শেয়ার মোট এক হাজার ২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ১৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ছয় কোটি এক লাখ টাকা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৯৬ পয়সা ও ১৩ টাকা ৫৫ পয়সা।
২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩৬ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৫৬ পয়সা ও ১১ টাকা ৪৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে সাত কোটি ২০ লাখ টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল দুই কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল তিন কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মোট শেয়ারের মধ্যে ৩৬ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।