প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বিক্রয় চাপ আইটি খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। এদিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল সিরামিক ও ট্যানারি খাতের শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং দুটি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এর পরের অবস্থানে থাকা পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন পাট খাতে মোট তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। সিরামিক খাতে লেনদেন হওয়া পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং একটির দর কমেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ করে দর বেড়েছে। এ ছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, প্রকৌশলী, মিউচুয়াল ফান্ড এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এর পরের স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল জীবন বিমা খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হওয়া সিরামিক খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর লেনদেন বেড়ে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন বেড়ে ২০ কোটি টাকার ঘরে এসেছে। ডিএসইতে ১২০টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ৪৪টির বেড়েছে। সিএসইতে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ২৫টির বেড়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রমতে, ডিএসইতে ৭৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৯৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৫ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে দুই হাজার ২২১ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৭৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৪টি এবং কমেছে ১২০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৭২টির। অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ছয় লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ছয় কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৬২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬১টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩১ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭১ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে।