প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বিচ হ্যাচারির ২১তম এজিএম স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণেই কোম্পানিটি এজিএম স্থগিত করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এর আগে কোম্পানিটি আগামী ২৮ ডিসেম্বর এজিএমের ঘোষণা দিয়েছিল। এজিএমের নতুন তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল তাদের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে দুই দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

এদিন দুই লাখ ১৭ হাজার ২৯১টি শেয়ার মোট ১৪৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২২ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর আট টাকা থেকে ১৬ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা, যা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ছিল ১২ টাকা ৩৮ পয়সা। ২০১৪ সালে কোম্পানি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচ্য ইপিএস হয়েছিল ৫৪ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১২ টাকা ৩৮ পয়সা। এ সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল তিন কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার টাকা।

প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১১ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময় ১০ পয়সা ছিল। অর্থাৎ এক বছরে  শেয়ারপ্রতি লোকসান এক পয়সা বেড়েছে।

অন্যদিকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) ১১ টাকা ১৫ পয়সা দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছর একই সময় ১১ টাকা ৩৪ পয়সা ছিল। এক বছরে এনএভি ১৯ পয়সা কমেছে।

২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ সাত কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট চার কোটি ১৪ লাখ এক হাজার ২১টি শেয়ার রয়েছে।

মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ২২ শতাংশ।