প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বিজনেস আইডিয়া

নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে, কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়, এমন বিজনেস। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের

সাপ্তাহিক আয়োজন

অনলাইনে শিশু ও বয়স্ক সেবা

পশ্চিমা দেশগুলোয় ‘কেয়ারলি’ নামে এক স্মার্টফোন অ্যাপ রয়েছে। সন্তানরা অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখেন মা-বাবার মোবাইলে। যেন তাদের বর্তমান অবস্থা, চিকিৎসার সময়সূচি প্রভৃতি নিয়মিত আপডেট জানতে পারেন। সময় বাঁচাতে ও বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে এ অ্যাপের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ মিলিয়ন

মানুষ এ সেবা নিচ্ছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোয় ছয় বছরের নিচে ১২ মিলিয়নের বেশি শিশুকে প্রতি সপ্তাহে চাইল্ড কেয়ারে নিয়ে যান বাবা-মা। বাবা ও মা দুজনই চাকরিজীবী হওয়ার ফলে সেখানে এমনটি ঘটছে।

উপরের দুটি চিত্রের সঙ্গে আমরাও কি পরিচিত হয়ে উঠছি না? একান্নবর্তী পরিবার ছেড়ে যে হারে একক পরিবার গড়ে উঠছে, তাতে কেয়ারলি অ্যাপের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়বে। বয়স্ক মানুষ তো বটেই, পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যও এটি প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনে কর্মরত হলে সন্তানের দেখভালের জন্য কেয়ারটেকারের প্রয়োজন পড়ে। তাই এজটেকবিষয়ক এসব প্রযুক্তির আবেদন আমাদের দেশেও কম নয়।

তাই সঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়ানো, নিয়মমাফিক ডাক্তারের চেকআপ করানো, খাবার-দাবারে সহায়তা করা প্রভৃতি সেবায় আপনিও যুক্ত হতে পারেন। আপনার সেবার মাধ্যমে একজন বয়স্ক মানুষ যেমন উপকৃত হতে পারে, তেমনি পারে একটি শিশুও। বিশেষ করে অ্যালঝেইমার রোগীদের সেবায় এ অনলাইন সেবা ভীষণ কাজের। অনলাইনে যেন প্রেসক্রিপশনের ওষুধগুলো মেসেজ বা ই-মেইলের মাধ্যমে ফার্মেসিতে অর্ডার দেওয়া যায়, তারও ব্যবস্থা রাখুন।

প্রথমে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করুন। ডোমেইন ও হোস্টিং নিজের কাছে রাখুন। সম্ভাব্য সব ধরনের সেবার ফিচার দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন সাইটটি। বেবিসিটারদের একটা ডেটাবেজ প্রস্তুত রাখুন। তাদের জীবনবৃত্তান্ত, ছবি প্রভৃতি আকর্ষণীয় করে তুলুন। ডেটাবেজে ক্লায়েন্ট বা ভিজিটরদের প্রবেশাধিকার সহজ করুন। সময়, মূল্য ও স্থান নির্ধারণ করে ফেলুন। বাবা-মায়ের চাহিদা ও আস্থার জায়গা তৈরি করুন। পেমেন্ট প্রসেসর যুক্ত করুন ওয়েবসাইটে।

এসব তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দিতে পারেন। আমাদের দেশে ফেসবুকের ব্যবহার শীর্ষে। পেইজে গ্রাহকসংখ্যা বাড়ান। মার্কেট প্লেসেও একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। এখানে ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের ঝামেলা নেই। অফলাইনে প্রচার চালান। কিছু লিফলেট অথবা হ্যান্ডবিল তৈরি করে পাবলিক প্লেসে পোস্টারিং করুন। বাসার কাছাকাছি স্কুল বা কলেজে প্রচার চালান। নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ও ওয়েব ঠিকানা উল্লেখ করুন লিফলেটে। বিজনেস কার্ড বানাতে ভুলবেন না। নিজেকে ও নিজের সেবা সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দিন। কমিয়ে দিন পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের দুশ্চিন্তা। এ ব্যবসার পরিধি বাড়লে ধীরে ধীরে নার্সিং, ধাত্রীসেবা ইত্যাদিও যুক্ত করতে পারেন।