প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়েছে সামিট পাওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে করা চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, সামিট পাওয়ার ১০২ মেগাওয়াট এইচএফওভিত্তিক নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে। এর আগে গত ১ এপ্রিল সামিট পাওয়ার ও বিপিডিবির মধ্যে চুক্তি সই হয়।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০০৫ সালে  পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি। গতকাল কোম্পানিটির চার কোটি ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬টি শেয়ার মোট ৬১৮ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ ও ছয় শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৭৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৩ পয়সা।

২০১৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের সমান। ওই বছর ইপিএস ছিল তিন টাকা ২৬ পয়সা এবং এনএনভি ছিল ২৬ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৬৯ পয়সা ও ২৩ টাকা ৪৬ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২২১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২১৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৮৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জুন ক্লোজিং কোম্পানিটি প্রথম  প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা চার পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে আট পয়সা। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় ছিল ২৬ টাকা ৪৮ পয়সা। মুনাফা করেছে ১০২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।