নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এদিন লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। ফলে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সূচকের উত্থানেও শুধু জীবন বিমা খাতে বিনিয়োগকারী অনাগ্রহ ও বিমুখ থাকায় শেয়ারদর কমেছে। আটটি ছাড়া বাকি সব খাতে শেয়ারদরে বেড়েছে। এদিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। পাট এবং আইটি খাত দর বৃদ্ধির যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা খাতে দর বেড়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৩০ শতাংশ দর বৃদ্ধি হয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। চতুর্থ স্থানে থাকা আইটি খাতে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সিমেন্ট, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন, আর্থিক এবং বস্ত্র খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় জীবন বিমা খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ভ্রমণ খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া জীবন বিমা খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২১৮ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৪টি এবং কমেছে ২৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০৫টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪২টি, কমেছে ৮টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৫টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট ও সিএসআই ১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৩ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৬৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫৮ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।