প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

বিবিএসের ৬৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেন তালিকার শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত  বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস) লিমিটেড। ওই দিন কোম্পানিটির মোট ৬৯ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গতকাল কোম্পানিটির এক কোটি ৪৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৪টি শেয়ার সাত হাজার ৪৮৯ বার লেনদেন হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা চার টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৩২ পয়সা এবং ১২ টাকা ৩২ পয়সা।

২০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় কারখান প্রাঙ্গণে (জাইনা বাজার, টেলিহাতি, শ্রীপুর, গাজীপুর)  বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ ছিল ২৩ নভেম্বর।

২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর থেকে পাঁচ শতাংশ কম। ওই বছর কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছিল ৮০ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৫ পয়সা। চলতি বছরে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছিল ৮৫ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে এনএভি ছিল ১৫ টাকা ৫৩ পয়সা। এটি চলতি বছরে ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা।

১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার।