মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতার মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এর নিন্মমুখী প্রবণতা দেখা যায়। দিন শেষে ৫৬ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে সূচকের অবস্থান হয় সাত হাজার ১৮৬ পয়েন্ট।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দিনের শুরুতে সূচকের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে। পরবর্তী সময়ে বিক্রয় চাপ তৈরি হলে ক্রমে দর নিন্মমুখী হতে শুরু করে। এর জের ধরে দিন শেষে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বাড়ে ৬৫টির। পক্ষান্তরে ২৮৭টির হ্রাস পায় এবং অপরিবর্তিত থাকে ২৪টির শেয়ারদর।
অন্যদিকে গত কয়েক দিনের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিমা শেয়ার ছেড়ে ব্যাংক শেয়ারের দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালের বাজারেও এমন চিত্র দেখা যায়। লেনদেনের শুরু থেকে বিমা খাতের শেয়ারদর হ্রাস পেতে শুরু করে। দর আরও কমতে পারে এ আশঙ্কা থেকে অনেকে কিছুটা কমে হলেও এ শেয়ার ছেড়ে দেন। এর জের ধরে দিন শেষে বিমা খাতের ৯২ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পেতে দেখা যায়।
এদিকে বিমার উল্টো অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। লেনদেনের শুরু থেকে এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকে। মূলত বিমা খাতের শেয়ার ছেড়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে সম্প্রতি এ খাতের শেয়ারদর বাড়ছে। গতকালও এর ব্যতিক্রম ছিল না। দিন শেষে এ খাতের ৭০ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
অন্যদিকে ব্যাংক খাত ছাড়া গতকাল প্রকৌশল, বস্ত্র, বিবিধসহ অন্যান্য খাতগুলো অনেকটা বিবর্ণ ছিল। এসব খাতের শেয়ারে তেমন আগ্রহ ছিল না বিনিয়োগকারীদের।
এদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১৯ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়।