ক্রীড়া প্রতিবেদক: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এখন পর্যন্ত কোনো সুখবর নেই বাংলাদেশ শিবিরে। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও একই চিত্র, বাজে হার। যে কারণে বেশ সমালোচনার মুখে টাইগাররা। তাতে মোটেও বিচলিত নন তামিম ইকবাল। কঠিন এ সফর থেকে পাওয়া শিক্ষা কীভাবে আগামী বিশ্বকাপে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই এখন থেকেই ভাবছেন তিনি।
বিদেশ সফরে পরাজয়ের জন্য সব সময় কন্ডিশনকে দায়ী করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও সেটাকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। তাই তো প্রশ্নটা বারবারই ঘুরে-ফিরে আসছেই, যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ২০১৯ বিশ্বকাপে কী করবে বাংলাদেশ। বিষয়টি ভাবছেন তামিম ইকবালও। ‘যদি বাজে সফর হিসেবে চিন্তা করে সব ভুলে যাই, তাহলে আমরা উন্নতি করতে পারব না। এখানে কী ঘাটতি ছিল, সেগুলো বের করতে হবে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। আমরা জানি, ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে। সেখানে খেলাও কঠিন আমাদের জন্য। এসব মাথায় রেখে এগোতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সমস্যায় পড়েছি, সেটা থেকে উন্নতি করা দরকার। যদি না করি, তাহলে এগোব না।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর কঠিন হবে সবাই জানত। কিন্তু ফল এতটা খারাপ হবে, তা হয়তো তামিমও কল্পনা করতে পারেননি। ‘কন্ডিশন কঠিন হবে, সেটা আমরা সবাই জানতাম। কিন্তু কন্ডিশনকে দোষ দিয়ে বা আমরা ওখানে অনেক দিন যাইনি এসব অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। আমার কাছে মনে হয় দল হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমরা যতটা সক্ষম, আমরা সেটা খেলেতে পারিনি। দল হিসেবে বা ব্যক্তিগতভাবে খেলতে না পারলে ওটা কোনো বিষয় নয় যে আমরা দেশে খেলছি না বিদেশে। সেখানে কন্ডিশন অবশ্যই একটু ভিন্ন ছিল, চ্যালেঞ্জিংও ছিল। কিন্তু আমরা এরচেয়েও ভালো পারফর্ম করতে পারতাম।’
এর আগে প্রোটিয়া সফরের প্রথম টেস্টে ঊরুর চোটে পড়েছিলেন তামিম। যে কারণে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। তবে ফিরেছিলেন সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। কিন্তু পুরোনো সেই চোট আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে শেষ পর্যন্ত সিরিজ থেকেই ছিটকে যান তিনি। গত পরশু দেশে ফিরে গতকাল বিসিবিতে ফিজিওর কাছে এসেছিলেন এ বাঁহাতি। সে সময় এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ পুনর্বাসনে থাকতে হবে। এরপর আবার দেখা হবে। বিপিএলে অন্তত দুটি ম্যাচ খেলতে পারব না।’
ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হলে আর মাঠে ফিরবেন না তামিম। তার কাছে বিপিএলের চেয়ে জাতীয় দলই আগে। ‘আমার অগ্রাধিকার জাতীয় দল। পুরো সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলব না। খেলা উচিতও হবে না। বিপিএল আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় দল সবার আগে। সামনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে । অত দিন সময় লাগবে না যদিও; তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে যত দিন লাগবে, তত দিন সময় নেব।’