শেয়ার বিজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ কিছুটা কমার পর গেল সপ্তাহে বিশ্ববাজারে আবার বেড়েছে স্বর্ণের দাম। পাশাপাশি বেড়েছে রুপার দামও। এ তালিকায় রয়েছে আরেক দামি ধাতু প্লাটিনাম। খবর: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
গত সপ্তাহে স্বর্ণের দাম বেড়েছে এক দশমিক ২১ শতাংশ। অন্যদিকে রুপার দাম বেড়েছে দুই দশমিক ৯২ শতাংশ। আর প্লাটিনামের দাম বেড়েছে এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহে স্বর্ণের দাম কমে এক দশমিক ৭৬ শতাংশ। রুপার দাম কমে তিন দশমিক ৯২ শতাংশ। আর প্লাটিনামের দাম কমে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ। অবশ্য তার আগে টানা তিন সপ্তাহ স্বর্ণের দাম বাড়ে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে চার দশমিক ৮০ ডলার বা দশমিক ২৬ শতাংশ। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে এক দশমিক ২৬ শতাংশ বা ২১ ডলার।
এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮১৭ দশমিক ২৯ ডলারে। আগের সপ্তাহে স্বর্ণের দাম কমে ৩১ দশমিক ৬১ ডলার। তার আগের তিন সপ্তাহ টানা দাম বাড়ার পর প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮২৭ দশমিক ৯০ ডলারে উঠে আসে।
অবশ্য টানা তিন সপ্তাহ দাম বাড়ার আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের টানা চার সপ্তাহ দরপতন হয়। এতে এক মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৭৯ ডলার বা চার দশমিক ২৪ শতাংশ কমে যায়।
আর ছয় বছরের বেশি সময়ের মধ্যে গত বছর প্রথম প্লাটিনামের আউন্স এক হাজার ৩০০ ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়ে যায়। বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান বিসিএস গ্লোবাল মার্কেটসের মতে, কভিড-১৯ মহামারিতে মূল্যবান ধাতুর বাজারে চাঙা হয় প্লাটিনাম। কন্ট্রাক্ট ফর ডিফারেন্সের (সিএফডি) মতে, এ ধারা দেখা গেছে চলতি বছরও। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ, টোকিও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও লন্ডন বুলিয়ন মার্কেটে প্লাটিনামের ট্রেড তুলনামূলক বেশি হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ প্লাটিনাম উৎপন্ন হয়। এরপর রয়েছে রাশিয়া ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো।