নিজস্ব প্রতিবেদক:‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উন্নীত হলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘বি’ ক্যাটেগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানিটির উন্নীত হলো। ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে গতকাল থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৮ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ২৫ পয়সা। এছাড়া ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য আড়াই শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল এক টাকা তিন পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ এনএভি দাঁড়িয়েছিল ১৪ টাকা ৬৭ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ১৮ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ২১ পয়সা। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ পয়সা (ঘাটতি)।
উল্লেখ্য, শেফার্ড টেক্সটাইল (বিডি) লিমিটেড ১৯৯৭ সালে ঢাকা ইপিজেডে সুতা ও রং প্রস্তুতকারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে তারা বুনন কাপড়ের বিকাশ শুরু করে। বর্তমানে বুনন কাপড়ই তাদের প্রধান পণ্য। কোম্পানির দ্রুত বর্ধনশীল পণ্যের কারণে ২০১২ সালে ঢাকা ইপিজেড থেকে ভালুকা, ময়মনসিংহে একটি বৃহত্তর সুবিধার জন্য তাদের উৎপাদন লাইন স্থানান্তরিত করে। এই কোম্পানিটি বিভিন্ন জিএসএম-সহ ১০০ শতাংশ তুলা, সিভিসি এবং টি/সি-সহ বুনন, ডাইং, ব্রাশিং ও ফিনিশিং পর্যন্ত সব ধরনের বুনন কাপড় সরবরাহ করে।
এদিকে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নিমিটেড ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।