নিজস্ব প্রতিবেদক: মুরগির মাংস রপ্তানির জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। এ জন্য পোলট্রি জোন, কম্পার্টমেন্টালাইজেশন, ডেডিকেটেড ফার্ম, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হালাল বোর্ড দরকার। এ ছাড়া অবিলম্বে পোলট্রি বোর্ড গঠনের জন্য দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান।
পোলট্রি শিল্প দেশের মোট চাহিদার ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ প্রাণিজ আমিষের জোগান দিচ্ছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে ২০৪১ সাল নাগাদ দারিদ্র্য সীমা ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে এ শিল্প সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন ওয়াপসা-বিবি’এর সভাপতি মসিউর রহমান।
গতকাল শনিবার ১২তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শোর সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মসিউর আরও বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক নম্বর মাংস হবে মুরগির মাংস। বর্তমানে পোলট্রি শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। ২০৪১ সালে তা হবে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার। কর্মসংস্থান ৬০ লাখ থেকে বেড়ে হবে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। ২০১৯ সাল থেকে আমরা ফিড রপ্তানি করছি। তবে কিছু জটিলতার কারণে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, দেশি পোলট্রি খাত যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা যেন দীর্ঘ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পোলট্রি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে একত্রে কাজ করতে হবে।
ওয়াপসা-বিবি’এর সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান বলেন, মূলত তিনটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে এবারের শো ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো হলোÑপোলট্রি শিল্পে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা, নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদন এবং পোলট্রি শিল্পকে টেকসই করা।
মাহাবুব মনে করেন, আগামী কয়েক বছরে এর প্রতিফলন ঘটবে। স্কুলের টিফিনে সপ্তাহে অন্তত ২টি সিদ্ধ ডিম এবং গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য ডিম ও মুরগির মাংসের বরাদ্দ নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেনÑমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০টি দেশের ১৬৯টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা ৬০০টি স্টলে প্রদর্শন করেছেন। মেলা পরিদর্শন করেছেন প্রায় ৬০ হাজার দর্শণার্থী। পোলট্রিবিষয়ক অনলাইন, ম্যাগাজিন ও পত্রিকার কনটেন্ট বিবেচনায় ‘পোলট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’-এর প্রথম পুরস্কার অর্জন করে এগ্রিলাইফ২৪.কম, দ্বিতীয় পুরস্কার এগ্রিনিউজ২৪.কম ও তৃতীয় পুরস্কার পায় পোলট্রি খামার বিচিত্রা। বেস্ট স্টলের পুরস্কার লাভ করে স্কয়ার এগ্রোভেট, দ্বিতীয় পুরস্কার এসিআই-সিভার ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে কেমিন।