নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজে ভোজনবিলাসী। তাই তো অনেকটা শখের বসেই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১১ সালের ১০ জুন কয়েকজন বন্ধু মিলে ‘সিচুয়ান চায়নিজ অ্যান্ড ফাস্ট ফুড’ নামের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন জাতীয় দলের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। জানা যায়, চায়নিজ একটি মসলার নাম অনুসারে রেস্টুরেন্টটির নামকরণ করেছিলেন তারা। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেলো। কেমন চলছে অ্যাশের সেই রেস্টুরেন্ট?
এমন প্রশ্নের জবাবে শেয়ার বিজকে আশরাফুল বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে খুব ভালো চলছে। দেখতে দেখতে পাঁচ বছর হয়ে গেলো। এখানে প্রতিদিনই কাস্টমারের ভিড় বাড়ছে।’
ক্রিকেটারদের কত ব্যস্ততা। তার মধ্যে হঠাৎ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় কীভাবে এলেন আশরাফুল? জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বলছিলেন, ‘২০১১ সালের জুনের ওই সময়টা আমাদের তেমন একটা খেলা ছিল না। তাই আমরা কয়েক বন্ধু মিলে একটা পরিকল্পনা করি, কিছু একটা করবো। বলতে পারেন সেই পরিকল্পনা থেকেই এ ব্যবসা।’
ক্রিকেটারদের মধ্যে বাংলাদেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রথম আসেন আশরাফুল। এরপর সাকিব আল হাসান, শামসুর রহমান শুভ এসেছেন। শিগগিরই এ ব্যবসায় আসছেন লেখালেন তাসকিন আহমেদ।
ক্রিকেটারদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় আসার কারণ কী? এ নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘আসলে ক্রিকেটাররা সবাই খেতে পছন্দ করে। যে কারণে খাবারের প্রতি তাদের একটা আলাদা ঝোঁক থাকে। এ থেকেই তাদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় আসতে আগ্রহ জš§ায়।’
আশরাফুলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এ ধরনের আরও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার ইচ্ছে আছে? ‘অবশ্যই এ ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে আছে। আমাদের এখন যে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে, তা প্রথমে একটা ফ্লোর নিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন আরও একটি ফ্লোর নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিচের ফ্লোরটিও নেওয়ার চিন্তা রয়েছে আমাদের।’ বলেন আশরাফুল।
রাজধানীর বাসাবোর বৌদ্ধ মন্দিরের ঠিক উল্টোদিকে দেখা মিলবে আশরাফুলের ‘সিচুয়ান চায়নিজ অ্যান্ড ফাস্ট ফুড’ রেস্টুরেন্ট। এশিয়ার দেশগুলোর রকমারি খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় সেখানে। সঙ্গে মনোরম পরিবেশ তো রয়েছেই। আড্ডা দেওয়া, সময় কাটানো ও খাবারের স্বাদ সবই মিলবে এ রেস্টুরেন্টে।
আশরাফুলের একটি পার্টি সেন্টারও রয়েছে। ‘সিচুয়ান গার্ডেন’ নামের রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারটি রাজধানীর ওয়ারীর ১/১ র্যাংকিন স্ট্রিটে। যেখানে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, যেমনÑবিয়ে, বউভাত. জš§দিন ও বিভিন্ন পারিবারিক প্রোগ্রামে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকায় চলতি টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন না আশরাফুল। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যান্য টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন তিনি। তবে এ সময়ে সেসব লিগ বন্ধ থাকায় আপাতত নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ লিগে খেলছেন আশরাফুল। সব মিলিয়ে ক্রিকেটে এখন খারাপ সময় যাচ্ছে তার। তবে ‘ব্যবসায়ী’ আশরাফুলের ঠিকই বাজিমাত!