প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ব্যবসা বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসন ও দায়দেনা নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। এ টাস্কফোর্স রুগ্ণ শিল্পগুলোকে গার্মেন্ট, টেক্সটাইল ও নন-টেক্সটাইল এ তিন শ্রেণিতে ভাগ করে। পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন জারি করে গার্মেন্টের ২৭৯টি ও টেক্সটাইলের ১০০টি কারখানার দায়দেনা অবসায়ন করেছিল সরকার। কিন্তু নন-টেক্সটাইল খাতের কোনো কারখানা এখনও এ সুবিধা পায়নি। এসব শিল্প রুগ্ণ হলেও ব্যাংকগুলো এর মালিকদের খেলাপি দেখিয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। সে কারণে নতুন ব্যবসায় উদ্যোগও গ্রহণ করতে পারছেন না তারা। টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন জারির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে নানা সময়ে বৈঠক করা হলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাচ্ছেন রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা।

গতকাল রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসন-সংক্রান্ত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির চেয়ারম্যান ছাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী জানান, রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুনসেফ কমিটি গঠিত হয়েছিল। রুগ্ণ শিল্প পুনর্বাসনে ১০০ কোটি টাকার তহিবল গঠন করেছিল তৎকালীন সরকার। পরে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে নতুন করে রুগ্ণ শিল্পের ডেটাবেজ তৈরি করা হয়।

স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তিনি জানান, রুগ্ণ শিল্পকে সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য এফবিসিসিআইতে একটি আলাদা ডেস্ক গঠন করা হবে। একইসঙ্গে প্রত্যেকটি চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের আওতাভুক্ত শিল্পের রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির জন্য চিঠি দেয়া হবে। তালিকা পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নতুন করে রুগ্ণ হওয়া শিল্পকে পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেব এফবিসিসিআই। এছাড়া রুগ্ণ শিল্পকে বাঁচাতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।

কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ তাহমিন আহমেদ বলেন, রুগ্ণ শিল্পের মালিকদের বাঁচাতে সহায়তা কামনা এবং পোশাক ও বস্ত্র খাতের বাইরে থাকা রুগ্ণ কারখানার ঋণ দায়মুক্তির অনুরোধ করে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন এ. ফেরদৌস, এম নজরুল ইসলাম, সরকার মো. সালাউদ্দিন, একেএম খোরশেদ আলম খানসহ অন্য সদস্যরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।