শেয়ার বিজ ডেস্ক : পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের পর প্রথমবারের মতো গতকাল মঙ্গলবার ভারত থেকে শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন। খবর: দ্য হিন্দু।
গত মে মাসে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দুই দেশের স্থলসীমান্ত বন্ধ হয়ে যায়। সেই সংঘর্ষে মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছিলেন।
পাকিস্তানের নয়াদিল্লিস্থ হাইকমিশন জানিয়েছে, গুরু নানকের ৫৫৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী উৎসবে অংশ নিতে ২ হাজার ১০০ তীর্থযাত্রীকে ভিসা দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভারতের ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে তীর্থযাত্রীরা মাথায় মালপত্র নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান।
তীর্থযাত্রীরা আজ বুধবার লাহোর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত গুরু নানকের জন্মস্থানে জমায়েত হবেন। এরপর তারা কারতারপুরসহ পাকিস্তানের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে যাবেন, যেখানে গুরু নানক সমাধিস্থ আছেন।
পাকিস্তান হাইকমিশন জানিয়েছে, এই উদ্যোগটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি জোরদার করার প্রচেষ্টার অংশ।
গত শনিবার ভারতের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার সীমিতসংখ্যক তীর্থযাত্রী দলকে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেবে।
২০১৯ সালে চালু হওয়া কারতারপুর করিডোর মে মাসের সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। চার দিনের সংঘর্ষটি শুরু হয় ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগের পর, যা ইসলামাবাদ অস্বীকার করে।
তবে চলতি মাসের শুরুতেই শিখ সম্প্রদায়কে পাকিস্তানে ‘জাঠা’ (ধর্মীয় প্রতিনিধিদল) পাঠানোর অনুমতি দেয় ভারত সরকার। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী মনজিন্দর সিংহ সিরসাও। এক ভিডিয়ো বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান সিরসা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাকিস্তানে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে শুরু করেছে পাকিস্তানের সরকারও। চলতি মাসের শুরুর দিকে এ বিষয়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের প্রাদেশিক সরকারের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তুতি বৈঠকও সেরে নিয়েছে।
নানকের জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানটি হবে আগামী ৫ নভেম্বর। লাহোর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে নানকানা সাহিবের গুরুদ্বারে ওই অনুষ্ঠানটি পালিত হবে। এই সফরকালে তীর্থযাত্রীরা কর্তারপুর সাহিব এবং পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের অন্য গুরুদুয়ারাগুলোতেও যেতে পারবেন।
পাকিস্তানে শিখদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থ স্থান রয়েছে। প্রতি বছরই গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী উৎসবে সেখানে ভারত থেকে ধর্মীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়।
প্রিন্ট করুন







Discussion about this post