প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু: খাদ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধি, রাজশাহী: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা ভারতের দালাল না, অকৃত্রিম বন্ধু। কারণ তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বার্থহীনভাবে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এই কৃত্রিম বন্ধুত্ব সারাজীবন অটুট থাকবে।’

গতকাল সকালে রাজশাহীর স্থানীয় একটি হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেলিব্রেশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলেই অনেকে ভাবেন ভারতের সঙ্গে এ বন্ধুত্ব থাকবে না। এটা ঠিক না। কারণ সরকার পরিবর্তন হলেই মনের পরিবর্তন হয় না, নীতির পরিবর্তন হয় না। এই বন্ধুত্ব কখনও নষ্ট হবে না। বাঙালি অকৃতজ্ঞ জাতি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে তখন যারা বিরোধিতা করেছিল, তাদের প্রেতাত্মা স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। হয়তোবা চলতেই থাকবে। আমাদের সজাগ থেকে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের এখনও মনে আছে, ভারত সরকারের নির্দেশে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কীভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। যেটা অকল্পনীয় ও অতুলনীয় ছিল। অথচ ১৯৭৫ সালের পরে ভারতের কথাটা মুখে তুললেই একরকম দোষী সাব্যস্ত করা হতো।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পরপরই বঙ্গবন্ধু ভারতের সেনা সদস্যদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন। অথচ যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে যে দেশ স্বাধীন হয়, এত সহজে তারা সেনা তুলে নিয়ে আসে না। কিন্তু ভারত সরকার বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সেনা প্রত্যাহার করেছিলেন। আমি তো মনে করি, এই সেনা প্রত্যাহারের ফলেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সুযোগ পেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।’

তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে দুই দেশের নাগরিক পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতির বিনিময় ও বাণিজ্য ভারসাম্য আনার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে নিযুক্ত সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার মনোজ কুমার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আবুল কালাম সিদ্দিক, বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা শাহিনা আক্তার রেনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বক্তব্য রাখেন।