প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চলে বোমা হামলা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারি বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত একটি অঞ্চলে বোমা হামলা চালিয়েছে। কম্পন অনুভূত হওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে এ হামলা চালানো হয়। খবর: মিডল ইস্ট আই।

গত সোমবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শক্তিশালী এ কম্পনে হাজারো ভবন ধসে পড়ার পর মানুষের মৃত্যু বাড়ছে।

যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ও বৈদেশিক সম্পর্ক-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আলিসিয়া কেয়ার্ন্স গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মারিয়া শহরে সত্যিকারের নিষ্ঠুর ও জঘন্য হামলা চালিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের এ শহরে ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা হয়।

ওই শহরে মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীর একটি সূত্র হামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, এতে কেউ আহত বা নিহত হননি।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ভূমিকম্পের দুই ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে হামলা হয়। রাত ২টায় ওই অঞ্চলের কাছে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই আমি। মারিয়া শহরের অধিকারকর্মী মামুন আল-খাতিব বলেন, এ এলাকায় চার-পাঁচটি বোমা ছোড়া হয়।

বাশার আল আসাদ বাহিনীর এ হামলাকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তিনি বলেন, এ ঘটনা আসাদ সরকারের আসল চিত্র তুলে ধরছে। বাশার আল-আসাদ যেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড না চালাতে পারেন, সেজন্য তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের আশায় উদ্ধারকারীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে ধুলোয় মিশে যাওয়া অবকাঠামো, যন্ত্রপাতির অভাব ও প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বিঘিœত হচ্ছে। আরও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা, তুষারপাত ও বৃষ্টি। এর পরও খালিহাতেই দুর্গতদের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশ।