প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মজুরি নিয়ে অসন্তুষ্ট গাজীপুরের পোশাক শ্রমিকরা

 

গাজীপুর প্রতিনিধি: ২০১৮ সালের আগে পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন সম্ভব নয় বলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৫তম দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সম্প্রতি জানান। বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামা পোশাক শ্রমিকদের আরও এক বছর নতুন মজুরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন মন্ত্রীর মুখ থেকে এমন কথা শুনে মর্মাহত শ্রমিকরা। অসন্তুষ্ট বিরাজ করছে গাজীপুরের পোশাক শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ অঞ্চলের কয়েকজন শ্রমিক জানান, আমরা অপেক্ষায় ছিলাম শিল্প মালিকদের সংগঠন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নতুন বছরের শুরুতে বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে নতুন একটা ঘোষণা আসবে। কিন্তু আমাদের সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। আন্দোলনের দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ইতিবাচক কোনো আশ্বাস পেলাম না।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় এমএম গার্মেন্টসের সিনিয়র অপারেটর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা কোনো দাবির কথা বললেই গার্মেন্ট মালিকরা অবাদে শ্রমিক ছাঁটাই করে এবং কৌশলে আমাদেরকে অবৈধ শ্রমিক আন্দোলনকারী বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।

প্রস্তাবিত বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন শ্রীপুর আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বাবুল জানান, দেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২৬ লাখ ৬০ হাজার জন বেকার। এর মধ্যে কয়েক হাজার গার্মেন্ট শ্রমিকও রয়েছেন। এ গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিক ছাঁটাই করে আরও বেকারত্ব বাড়াছে। গাজীপুরের পলমল গার্মেন্টসের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম জিহাদি জানান, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে (বিজিএমইএ) এবং সরকার পক্ষ শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করতে পারে। এতে শ্রমিক অসন্তোষের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের শ্রমিক ভাইবোনেরা সহজ-সরল। তাদের তৃতীয় পক্ষ উসকানি দিয়ে রাস্তায় নামায়। অনেক শ্রমিক জানেনা এর পরিণতি কী হবে। পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো ঘোষণা নেই, সরকার অবস্থা বুঝে যে ব্যবস্থা নেবেন তাতে একমত পোষণ করবো।