প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মদ আমদানি আর খালাসে সবকিছুই ‘জাল’

রহমত রহমান: পণ্য আমদানিতে ব্যবহার করা হয়েছে জাল আইপি। বিল অব এন্ট্রিতে নেই ব্যাংকের নাম। নেই এলসি নম্বর। পোর্ট অব লোডিং সঠিক নয়। আমদানি করা পণ্যের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে যায়নি। পণ্য খালাস হওয়ার কথা চীনের নিংবো বন্দরে। খালাস হয়েছে শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরে। জাহাজ চলা অবস্থায় ‘সুইস বিএল’ আমদানিকারক-রপ্তানিকারকের নাম পরিবর্তন করা হয়। আর পণ্য খালাসে ভুয়া বিন নাম্বার, ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। স্ক্যান না করেও জাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মদ আমদানি আর খালাসের প্রতি ক্ষেত্রেই মিথ্যা তথ্য ও জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

অনুসন্ধান শেষে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে মদ আমদানিতে মিথ্যা তথ্য ও জাল কাগজপত্র ব্যবহারের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এনবিআরকে পাঠানো হয়েছে। সেই গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে গত জুলাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নেয়ার পর নারায়ণগঞ্জ থেকে সেই মদের চালান জব্দ করে র‌্যাব। জব্দ করা সেই চালানের সূত্র ধরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বন্দর থেকে আরও তিনটি মদের চালান জব্দ করে। জব্দ করা মদের মোট মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এ নিয়ে র‌্যাব একটি ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চারটি মামলা করেছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মদ আমদানির জালিয়াত চক্রের নেপথ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলাম ও তার ছেলে আব্দুল আহাদ। খালাস নেয়া মদ ঢাকার বিভিন্ন ড্যান্স ক্লাব ও বারে সরবরাহ করতেন আহাদ। জালিয়াতিতে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জাফর আহমেদ, কাস্টমস সরকার জসিম রিয়াদ ও জেটি সরকার সুমন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, মো. রাজিব উদ্দিন ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান। এই তিন কর্মকর্তা জাল এসব কাগজপত্র শনাক্ত না করে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাদের আইডি থেকে চালান খালাস হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রতিবেদনে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বড় চক্র ডকুমেন্ট জালিয়াতি আর মিথ্যা আমদানিকারক, ভুয়া এলসি, ইমপোর্ট পারমিট আর পোশাক খাতের কাঁচামাল ঘোষণায় মদ চোরাচালান করেছে। মদ কেনার অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। সমুদ্রপথে এ ধরনের বড় চোরাচালান অনেকদিন ধরেই আসছে। যার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। মদ আমদানি ও খালাসের পুরো ঘটনা একটি রূপকল্প বা নাটকের মতো। ওই গোয়েন্দা সংস্থার চেষ্টায় চক্রটি ধরা পড়েছে। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ মদ আমদানির বিষয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। এতে অপরাধ চক্র অনিয়ম আর জালিয়াতির মাধ্যমে মদ কৌশলে খালাস নিয়েছেন। মালয়েশিয়ান শিপিং এজেন্ট এসএমটি মেরিন এজেন্সিস। প্রতিষ্ঠানটি দুবাইয়ের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মুফাসা জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি থেকে শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় পণ্য কেনে। পরে এসএম মাহি নামের চারটি জাহাজে সেই কাঁচামাল গ্রহণ করা হয়। এ কাঁচামাল হংকংয়ের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের কাছে পৌঁছানোর জন্য চীনের নিংবো বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা হয়। নিংবো বন্দরে চারটি কনটেইনার খালাস হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে পৌঁছানোর আগেই ‘সুইস বিএল’-এর মাধ্যমে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের নাম পরিবর্তন করা হয়। আর নিংবো বন্দরে খালাস না করে তা একই জাহাজে করে সরাসরি শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে নেয়া হয়। ওই বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট করে ৩০ জুন এইচআর সারেরা জাহাজে যাত্রা করে ৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। তবে সুইস বিএল অনুযায়ী চার আমদানিকারক ও চার রপ্তানিকারক করা হলেও কনটেইনারের যাবতীয় বিবরণ একই ছিল।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স জাফর আহমেদ অ্যান্ড সন্স চারটি প্রতিষ্ঠানের বিন নাম্বার ব্যবহার করে কনটেইনারগুলো খালাসের চেষ্টা করে। সিঅ্যান্ডএফ ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই জালিয়াতিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. জাফর আহমেদ, কাস্টমস সরকার মো. জসিম রিয়াদ, জেটি সরকার সুমন সরাসরি জড়িত। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের মামলায় মো. জাফর আহমেদ ও কাস্টমস সরকারকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু জেটি সরকারকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ৬৯৯, কেবি দোভাষ লেন, গোসাইলডাঙ্গা, চট্টগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। এই ঠিকানায় কোনো অফিস নেই, কেউ বসবাস করেন না। জায়গাটি পরিত্যক্ত। জালিয়াতচক্র এ ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করেছেন।

প্রতিবেদনে কাস্টমস কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতির বিষয়ে বলা হয়েছে, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করলে কাস্টমসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা ভুয়া কিনা, তা শনাক্ত করবেন। বেপজার সফটওয়্যারে গিয়ে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা প্রতিষ্ঠানের আইপি কিনা, তা যাচাই করবেন। আটক করা পণ্য চালানের অ্যাসেসমেন্ট করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। তিনি পণ্যটির অনুমোদন আছে কিনা, তা যাচাই করার কথা থাকলেও তা করেননি। বেপজার সফটওয়্যারে পণ্যটির আমদানি অনুমোদন বা ইউডি আছে কিনা, তা নিশ্চিত না হয়েই অ্যাসেসমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছে পাঠিয়েছেন। আইপি জালিয়াতি ও এই কর্মকর্তাদের ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার বিষয়ে পণ্য আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেননি। আটক হওয়া মদের চালানটি বন্দর থেকে বের হতে স্ক্যানিং রিপোর্ট বাধ্যতামূলক ছিল। স্ক্যানিংয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রাজিব উদ্দিন সিগনেচারসহ স্ক্যান পেপার রেখে চলে যান। জালিয়াত চক্র এই পেপারের অপব্যবহার করে কৌশলে ভুয়া স্ক্যানিং রিপোর্ট দাখিল করে বন্দর থেকে চালানটি খালাস নিয়েছেন। এই কর্মকর্তা তার সিগনেচার, স্ক্যানিং পেপার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রেখে গেছেন।

মদ আমদানিতে অভিযুক্ত জাপানি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলা হয়েছে, মদ আমদানির সঙ্গে জাপানের হোসে টাইগার কোং লিমিটেড জড়িত নয়। প্রতিষ্ঠানটি বেপজার অন্তর্ভুক্ত একটি শতভাগ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। অবৈধভাবে এই প্রতিষ্ঠানের বিন নাম্বার ব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণায় মদ আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস আইনে এই আমদানির সঙ্গে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা দেখানো হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আটক করা মদের চালান ছাড়া ওই আমদানিকারকের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কোনো পণ্য খালাস করেনি। এই প্রতিষ্ঠানের কেউ অবৈধভাবে মদ আমদানির সম্পৃক্ত নয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। জালিয়াত চক্র এই প্রতিষ্ঠানের ই-টিআইএন, বিন জালিয়াতি করে অ্যাসাইকুডা থেকে চালানটি শুল্কায়ন করে খালাস নিয়েছে।

অন্যদিকে, জাপানি এই প্রতিষ্ঠানকে নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বেপজার চেয়ারম্যান ২০২২ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এবং ২৯ সেপ্টেম্বর জেট্রো (জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন) থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনারকে পৃথক চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে হোসে টাইগার কোং লিমিটেডের সংশ্লিষ্টদের নির্দোষ দাবি করেছেন। মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি চক্রের জালিয়াতির শিকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক হতে তিনটি পরামর্শ দেয়া হয়। বলা হয়, হোসে টাইগার কোং লিমিটেড জাপানি বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি ও মামলা দেশে-বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে কোনোভাবে এই ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেয়া সমীচীন। কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে এ ধরনের বড় চোরাচালান সংগঠিত হয়েছে। জাল ডকুমেন্টগুলো খুব সহজেই শনাক্ত করা যেত। মাঠ পর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তাদের এ ধরনের যোগসাজশ এবং ডকুমেন্ট জালিয়াতিতে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সমুদ্র পথে এই ধরনের বড় চোরাচালান অনেকদিন ধরে হয়ে আসছে। চক্রের মূল হোতা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জাফর আহমেদ। তার সঙ্গে বড় সহযোগী ডিস্ট্রিবিউটর চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান। আর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কিছু রাজস্ব কর্মকর্তা সাহায্যকারী হিসেবে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের কারণে দেশের শত শত কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচারের চ্যানেল গড়ে উঠেছে। বন্দরে এই ধরনের আরও বড় বড় অপরাধ চক্র থাকতে পারে। জালিয়াতি করে এই মদ আমদানি ও খালাসের ঘটনার বিষয়ে রপ্তানিকারক বা অন্যান্য বিদেশি সংস্থার ভূমিকাও থাকতে পারে। একটি সার্বিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

প্রতিবেদনে জালিয়াতি করে মদ আমদানির বিষয়ে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মেসার্স হোসে টাইগার কোং লিমিটেড, মেসার্স বিএইচকে টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মেসার্স ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড, মেসার্স ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডÑএই কোম্পানিগুলো অপরাধ চক্রের জালিয়াতির শিকার। কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বন্ডেড মামলাগুলো তদন্ত করে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া অভিযুক্ত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া, জেটি সরকারকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা; সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে কালো তালিকাভুক্ত, লাইসেন্স বাতিল করা; বন্দরে এই ধরনের জালিয়াত চক্রকে শনাক্ত, সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের জালিয়াতি করে হুন্ডির মাধ্যমে যাতে অর্থ পাচার না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলামকে। চেয়ারম্যান ও তার ছেলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেÑচেয়ারম্যান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘মামলায় নাম রয়েছে। তবে এভাবে আপনার সঙ্গে আমি কথা বলতে পারব না। এখন এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না, সরি।’ এই বলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। মদ জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস পৃথক চারটি মামলা করেছে। মামলার তদন্তের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক গতকাল শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আপডেট নেই, তদন্ত চলমান রয়েছে।’