প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মাছের বাজারে স্বস্তি ক্রেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতের ইতিবাচক প্রভাব মাছের বাজারে। কয়েক সপ্তাহের তুলনায় গতকাল নিম্নমুখী ছিল প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। নদীনালায় পানি কমার কারণে মাছ বেশি ধরা পড়ছে বলে এর প্রভাব পড়েছে বাজারে, বলেন বিক্রেতারা। এতে ছোট মাছসহ নানা প্রজাতির মাছের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে বাজারে। আর কম দামে মাছ কিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শনিরআখড়া বাজারে ফারুক হোসেন বলেন, মাছের দাম কম পেয়ে বেশি মাছ কিনতে পারলাম। অনেক দিন পরে সাশ্রয়ী দামে মাছ কিনে ভালো লেগেছে। প্রতি কেজি কাজলি মাছ কিনেছি ৪০০ টাকায়। এ মাছ দুই সপ্তাহ আগে ৫৫০ টাকায় কিনেছি।

মাছবাজারের বিক্রেতারা জানান, শীত মৌসুমে জলাশয়গুলোতে পানি কমে যায়। এতে নানা ধরনের ছোট মাছ বেশি ধরা পড়ে। আর ছোট মাছের দাম কমার প্রভাবে বাজারে বড় মাছের দামও কমতির দিকে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোট মাছের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল যেসব মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়, তা গত সপ্তাহে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি ছিল। একইভাবে বড় সাইজের মাছ কেজিভেদে ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।

গতকাল বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি রুই, কাতল, মৃগেল মাছ ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া শিং, মাগুর, বোয়াল বা শোল মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি ছিল। একইভাবে বড় চিংড়ি ৫০০ থেকে ৫৫০, যা গত সপ্তাহেও ৫০ টাকা বেশি ছিল।

কারওয়ান বাজারে বড় তেলাপিয়া, সিলভারকাপ ও পাঙাশ মাছের দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর চাষের কৈ ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা।

অন্যদিকে সবজি বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি প্রচুর সরবরাহ থাকায় আগে দাম কিছুটা কমার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে তা স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, কালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, সাদা বেগুন ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম ৩০-৪০ টাকা, টমেটো (ইন্ডিয়ান এলসি) ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি ঝিঙা ৮০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, আলু ২৫ টাকা এবং পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, এখন শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুম। মাঠে এখন সবজির সমারোহ; আমদানিও বেশি। ফলে সব ধরনের সবজি এখন অনেক কম দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিপণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল (দেশি) ১১৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১১০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯৫ টাকা, মাষকলাই ১৩০ টাকা ও ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১০২ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি রসুন ২১০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৫০ টাকা, চীনের আদা ৮০ টাকা, ক্যারালা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।