প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মাটিতে দূষণ রোধ করতে প্রয়োজন জনসচেতনতা

প্রতিনিধি, বাকৃবি : ভারী ধাতুর উৎস গুলো থেকেই মূলত মাটিতে ধাতুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটিতে দূষণ রোধ করতে জনসাধারণের সচেতনতাই হতে পারে টেকসই সমাধান। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। তাই কৃষি জমিকে এখন কম চাষ করতে হবে। এছাড়া কৃষি জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে হবে। রাসায়নিক সার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে। কৃষি জমিতে ৫ শতাংশ হারে জৈব পদার্থ থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব মৃত্তিকা উপলক্ষে ‘ মাটি: খাদ্যের সূচনা যেখানে ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তাহসিনা শারমিন হক। সোমবার (৫ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০ টায় কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ।

এসময় আলোচনা সভায় মাটির গঠন ও ব্যবহারের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্পোরেট সোশাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণই হলো মাটি। খনিজ পদার্থ, জৈব-অজৈব পদার্থ, বায়ু এবং পানি ইত্যাদি মিশ্র পদার্থ দ্বারা মাটি গঠিত। ফসল উৎপাদনের প্রধান ভিত্তি মাটি। এই মাটিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। মাটি দূষণ বন্ধ করতে হবে।

মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তাহসিনা শারমিন হকের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক মো. হোসেনুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোকিও বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তাকেহিরো ক্যামিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান। এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এনামুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের, অধ্যাপক ড. মো. মাহ্মুদ হোসেন সুমন, অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীরসহ ওই বিভাগের ¯œাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মৃত্তিকা বিজ্ঞানীগণ।