প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মানুষ পুড়িয়ে মারতে চাইলে একটাকেও ছাড়ব না: শেখ হাসিনা

শেয়ার বিজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে আবার মানুষ পুড়িয়ে মারতে চাইলে তাদের একটাকেও ছাড়ব না। আমরা সহ্য করেছি, এটাকে অনেকে দুর্বলতা বলে। এটা আমাদের দুর্বলতা নয়। গতকাল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। গৃহহীনদের ঘরসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তেমন কিছুই করেনি। ধর্ষণসহ নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে।

যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহƒত গ্রেনেড দিয়ে চামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময় আওয়ামী লীগের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। সেগুলো তারা ভুলে যায় কীভাবে? আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা রোজি।

এর আগে বেলা সোয়া ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। ২টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনের মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জবাবে নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি। পরে ফুল দিয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

এদিন সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতির সংখ্যাও। সম্মেলন ঘিরে পুরো উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন শোভা পায়। শাহবাগ চত্বর থেকে মৎস্য ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট চত্বরে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পদচারণে মুখর হয়।

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের নানা ধরনের সেøাগান দিতে দেখা যায় সম্মেলনে। এ দুই পদের বিপরীতে প্রায় ৪০ জন তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ দুই পদে সম্মেলন থেকে নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

প্রসঙ্গত, মহিলা আওয়ামী লীগের পঞ্চম জাতীয় জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৪ মার্চ। সে সময় সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পান সাফিয়া খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম।