পৃথিবীতে সব সৃষ্টির পেছনে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। পুরুষের সাফল্যের পেছনে যেমন নারীর অবদান থাকে, তেমনই নারীর সাফল্যের ক্ষেত্রেও পুরুষের অবদান কম নয়। কবি বলেছেন:
‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি, চিরকল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’
৮ মার্চ সব নারীর জন্য দিনটি আনন্দের ও সম্মানের। শিক্ষা, কর্মজীবন, সংসার, সামাজিকতাসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের অবাধ বিচরণ। নারীদের এত উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের পরও সার্বিকভাবে কোনো নারী আমাদের সমাজ তথা পরিবারে কতটা ভালো থাকতে পারে? পরিবারে একটা মেয়ের মতামতকে কতখানি মূল্যায়ন করা হয়? কর্মক্ষেত্রে নারীর বিচরণ অবাধ থাকলেও নারী কতটা নিরাপদ, আমরা তা এখনও জানি না, কারণ আমরা আমাদের মানসিকতাকে এখনও পরিবর্তন করতে পারিনি। এখনও মনে করি পুরুষের তুলনায় নারী অনেক দুর্বল। এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। পরিবার নিয়েই আমাদের সমাজ, তাই পরিবারে মেয়েশিশু জš§গ্রহণ করার পর তাকে মেয়ে হিসেবে না ভেবে মানুষ হিসেবে বড় করে তোলা দরকার। মা, বোন, স্ত্রীÑএই পরিচয়ের বাইরে আমাদের ভাবা উচিত নারীও মানুষ। তবে নারীর উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারীর নিজের ভূমিকাও কম নয়। অধিকার বুঝে নিতে হলে নারীকে শিক্ষিত হতে হবে। নারী হওয়ার পাশাপাশি নিজে একজন মানুষ, এটা তাকে অনুভব করতে হবে। সব নারীকে এই নারী থেকে বের হয়ে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগাতে হবে। তাহলে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারী আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে। কেবল নারী দিবসে নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন নয়, মানুষ হিসেবে মূল্যায়নের মাধ্যমে এই সম্মান প্রদর্শন করা হোক প্রতিদিন।
সারা ইসলাম সোমা