ক্রীড়া ডেস্ক: নবম উইকেট জুটি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গী তাসকিন আহমেদ। স্বাভাবিকভাবেই এ জুটি নিয়ে কেউ বাজি ধরবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার হারারে টেস্টর দ্বিতীয় দিনে সেই জুটিই দেখাল অসাধারণ বীরত্ব। মাহমুদউল্লাহ করলেন ক্যারিয়ার সেরা দেড়শ। আর তাসকিনও খেললেন ক্যারিয়ার ৭৫ রানের ইনিংস। শুধু তাই তারা জুটিতে তোলেন ১৯২ রান। বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় সাড়ে চারশ।
হারারের টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৪৬৮ রান করে। পরে বল হাতে জিম্বাবুয়ের ১ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা ১১৪ রানের বিনিময়ে।
প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রান করেন। আট নম্বরে নেমে এটি বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড গড়া ইনিংস। টেস্ট ইতিহাসে এই পজিশনে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে খেলেন তাসকিনও। ৭৫ রানের ইনিংসটি স্বীকৃত ক্রিকেটে তার প্রথম ফিফটি।
দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড ছাপিয়ে একসময় বিশ্বরেকর্ডও ছিল নাগালে। কিন্তু মিল্টন শুম্বার বাঁহাতি স্পিনে তাসকিন স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হলে শেষ হয় সেই সম্ভাবনা। নবম উইকেটে দুজনের জুটি থামে ১৯১ রানে। তবে তারা
বাংলাদেশের রেকর্ড গড়েছেন ঠিকই। পেছনে পড়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ ও আবুল হাসান জুটির ১৮৪ রান।
বৃহস্পতিবার মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন প্রথম সেশনেই কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ফেলেন ১১০ রান! লাঞ্চের আগেই মাহমুদউল্লাহ স্পর্শ করেন তার সেঞ্চুরি, তাসকিন পেয়ে যান ফিফটি।
লাঞ্চের পর পর তাসকিনকে ৬৬ রানে রান আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করে জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত তাসকিন থামেন ১১ চারে ১৩৪ বলে ৭৫ করে।
এই জুটি ভাঙার পর শেষ জুটি আর টেকেনি বেশিক্ষণ। মুজারাবানির চতুর্থ শিকার হয়ে শেষ ব্যাটসম্যান ইবাদত হোসেন ফেরেন শূন্য রানে।
মাহমুদউল্লাহ তখন অপরাজিত ২৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৫০ রান করে।
ব্যাটিংয়ের স্বস্তিটা বোলিংয়ে কিছুটা হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের একটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্রেন্ডন টেইলর ৪৬ বল খেলে অপরাজিত ৩৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৯৪/৮) ১২৬ ওভারে ৪৬৮ (মাহমুদউল্লাহ ১৫০*, তাসকিন ৭৫, ইবাদত ০; মুজারাবানি ২৯-৪-৯৪-৪, এনগারাভা ২৩-৫-৮৩-১, টিরিপানো ২৩-৫-৫৮-২, নিয়াউচি ১৭-১-৯২-২, মায়ার্স ৩-১-১৩-০, শুম্বা ২১-৪-৬৪-১, কাইয়া ১০-০-৪৩-০)।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১১৪/১ (শুম্বা ৪১, কাইটানো ৩৩, টেইলর ৩৭; তাসকিন ১০-৬-১৬-০, ইবাদত ৯-২-২৮-০, সাকিব ১৩-২-৪৩-১, মিরাজ ৯-১-২৪-০)।