প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারের ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। খবর: রয়টার্স।

২০২১ সালে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর গত মাস পর্যন্ত ষষ্ঠ দফায় দেশটির কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী-সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জঙ্গি বিমানের জ্বালানি সরবরাহ করা এবং তা আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে সংকট চলছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত ও অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার ও প্রতিরোধ বাহিনী।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তারা উত্তরোত্তর জনবহুল এলাকাগুলোয় বিমান হামলা চালাচ্ছে। মধ্য বার্মার একটি গ্রামে বিমান হামলায় একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে।

দেশটির সামরিক শাসকরা নিজেদের জনগণের দুর্ভোগ ও যন্ত্রণার জন্য দায়ী বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন।

মিয়ানমারের পুরোনো নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বার্মার জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র অটল। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নৃশংসতা চালানোর জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার করে, সেগুলো তাদের হাতে যাওয়া ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বক্তব্যের জবাবে ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ করা হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান চালাচ্ছে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা তাদের দায়িত্ব।