প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

মিয়ানমারের গ্যাস রফতানি আয় কমেছে ৪০%

শেয়ার বিজ ডেস্কঃ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মিয়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি ৪০ শতাংশ কমেছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। খবর মিয়ানমার টাইমস।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করে মিয়ানমার চলতি অর্থবছরে এক দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। আগের  বছরের একই সময় দেশটি তিন বিলিয়ন ডলার মূল্যের গ্যাস রফতানি করেছিল।

মিয়ানমারের মোট রফতানির অর্ধেক আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। চলতি অর্থবছরে পণ্যটির রফতানি আয় পতনে কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তথ্যমতে, প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি থেকে মিয়ানমার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তিন দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। এছাড়া ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশটির মোট রফতানি আয়ের অর্ধেক এসেছে এ পণ্য থেকে। তবে চলতি বছরের মোট রফতানির কত শতাংশ গ্যাস থেকে এসেছে সেটা স্পষ্ট নয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইইউ কিন মং লিন দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় মিয়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তনে কিছু দেশ ও সংশ্লিষ্ট খাত জ্বালানি তেলের ব্যবহার বাড়িয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কমেছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ২০১৪ সালে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানির দাম ছিল ১০৪ ডলার। চলতি বছর এর দাম ২৯ ডলার পর্যন্ত নেমে আসে। যদিও বর্তমানে কিছুটা বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল।

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও ২০১৪ সালের পর চলতি বছরের মার্চে সর্বনিম্ন নেমে আসে।  রাষ্ট্রায়ত্ত মিয়ানমার অয়েল ও গ্যাস এনটারপ্রাইসের MOGE) পরিচালক ইউ থান টান বলেন, রফতানির পরিমাণ প্রায় একই থাকলেও রফতানি আয়ে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে।

মিয়ানমারের প্রাকৃতিক গ্যাসের অন্যতম প্রধান দুই বাজার থাইল্যান্ড ও চীন। এসব দেশের সঙ্গে আগের বছরের সমপরিমাণ পণ্য বিক্রি চুক্তি হলেও দামে ব্যাপক পরিবর্তন রয়েছে।

ইউ থান টান বলেন, ডলার হিসেবে প্রায় ৪০ শতাংশ দরপতন হয়েছে পণ্যটির। আন্তর্জাতিক বাজারের দরপতনের সঙ্গে মিয়ানমারে পণ্যটির দরপতন সঙ্গতিপূর্ণ নয়।