ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সারাদেশের মতো মীরসরাইয়েও সরিষা আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর মীরসরাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ সরিষা আবাদ হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ‘সরিষা চাষে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ। এ কারণে জেলায় সরিষা চাষ বেড়েছে। ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সরিষা আবাদে জোর দিয়েছেন তারা।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার ৩২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল মাত্র ১৬০ হেক্টর জমিতে। সরকার চলতি বছর ১৫৭ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলে নড়েচড়ে বসে কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা প্রশাসন সরিষা আবাদের জন্য ৩২০ কৃষককে ৫ লাখ টাকার সহায়তা প্রদান করেছেন।
চলতি বছর উপজেলায় বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৯ ও বিনা-৪ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে বারি-১৪ জাতের সরিষা। এটি প্রতি হেক্টর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.২ মেট্রিকটন। এছাড়া সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে করেরহাট, দুর্গাপুর ও খৈয়াছরা ইউনিয়নে। এই ৩ ইউনিয়নে আবাদ হয়েছে ৯৪ হেক্টর জমিতে সরিষা। তার মধ্যে দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর, খৈয়াছড়া ৩৯ হেক্টর ও করেরহাট ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার করেরহাটে সরিষাচাষি জমির মিয়া জানান, সরকার থেকে এ বছর বীজ ও ইউরিয়া সার পেয়েছি। সরকার যদি এভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখে তাহলে চাষিরা সরিষা চাষে আগ্রহী হবে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের কৃষক আবু ইউসুফ বলেন, এই বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। মাসের মধ্যে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। এবার বিনামূল্যে সরিষার বীজ পেয়েছি। ফলন ভালো পাওয়ার আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলায় চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ সরিষা চাষ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধিতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তবে উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে বারি-১৪ জাতের সরিষা। এটি প্রতি হেক্টর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১.২ মেট্রিক টন।