নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প–ঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি মুনাফায় ছিল। মূলত মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়, যে কারণে কোম্পানিটি লোকসান গুনছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা আট পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে এক টাকা ২০ পয়সা। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৪ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৩ টাকা ৯০ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯৫ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৮ টাকা ৭৯ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮২ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাড়ে পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪২ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা ১৫ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৮৬ পয়সা। আর সে সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল চার টাকা পাঁচ পয়সা (লোকসান)
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৬০ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৮১ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪৬ কোটি আট লাখ ৪১ হাজার ৩৮৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সবশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৬৬টি শেয়ার মোট ছয়বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪৪ টাকা ৮০ পয়সাতেই লেনদেন হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৫৯ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।