প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

যশোর বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ কমেছে, পাস করেনি ৬ কলেজের কেউ

এইচএসসি পরীক্ষার ফল

প্রতিনিধি, যশোর: যশোর বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর সর্বোচ্চ ফলাফলে দেশসেরা অবস্থানে থাকলেও এবার তা হারিয়েছে। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ১১। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ১৬ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে ২ হাজার ১৭৫। এ বোর্ডের আওতাধীন ১০ জেলার মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে আছে খুলনা জেলা।

গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় যশোর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সমীর কুমার কুণ্ড।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সমীর কুমার কুণ্ড বলেন, করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিনটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ জন্য শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেক সময় ধরে প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এ বছর আইসিটি ব্যতীত সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। এ কারণে গত বছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কিছুটা কমেছে। এ ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ফলাফল আরও ভালো করার জন্য বোর্ডের যেসব পদক্ষেপ আছে সেগুলো অব্যাহত রাখবো। ফলাফল আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই।

এদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৫৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস করেছেন ৩৬ কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া পাস করতে পারেননি ছয়টি কলেজের কেউ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑকুষ্টিয়ার মিরপুর গোড়াপাড়ার হাজী নুরুল ইসলাম কলেজ, ঝিনইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া রাহাতুন্নেছা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাউথবেঙ্গল কলেজ, নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা মহিলা কলেজ, মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও একই উপজেলার রাউতাড়া এইচ এম সেকেন্ডারির স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শূন্য পাসের ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাহাতুন্নেছা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ছয়জন, হাজী নুরুল ইসলাম কলেজ থেকে পাঁচজন, সাউথবেঙ্গল কলেজ থেকে তিনজন, রাউতাড়া এইচএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও গোবরা মহিলা কলেজ থেকে দু’জন করে এবং শিবরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।

 যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) সমীর কুমার কুণ্ড এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, নন-এমপিও এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একেবারেই রুগণ। ফলাফলের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক ও শোকজ এবং একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।