প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

যেভাবে যেতে পারবেন এবারের বাণিজ্য মেলায়

ভ্রমণ ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো নতুন বছরের প্রথম দিনই শুরু হয়েছে বাণিজ্যমেলা। গেলো বছরগুলোতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেলার আয়োজন করা হলেও, এবার থেকেই প্রথম মেলার স্থায়ী নিবাস হয়েছে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে।

গেলো বছরগুলোর মেলায় যাতায়াতনের সহজ পথ থাকলেও, এবার মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে থাকায় অনেকের মনেই প্রশ্ন কিভাবে যাবেন এবারের মেলায়। মেলা শুরুর আগেই সেই সমস্যার সমাধান করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য দেয়া হয়েছে বিশেষ বাস। সেই বাসে করেই যেতে পারবেন এবারের মেলায়। চাইলে ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়েও যাওয়া যাবে।

ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া এবারের মেলায় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে মেলা প্রাঙ্গণ তথা বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। যানজট না থাকলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে প্রায় ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।

আর যানজট থাকলে ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে বাণিজ্য মেলায় পৌঁছাতে। তাই হাতে সময় নিয়ে বের হওয়া ভালো। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে পার্কিংয়ের ঝামেলায় পড়তে হবে না। কারণ যথেষ্ট জায়গা আছে পার্কিংয়ের জন্য।

মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে যেতে হবে মেলা প্রাঙ্গণে ।

প্রতিবছরের মতো এবারের মেলাতেও দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর ফি ধরা হয়েছে। নির্ধারিত টাকা দিয়ে টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হবে মেলায়। বড়দের জন্য প্রবেশ ফি রাখা হচ্ছে জনপ্রতি ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা ও অন্যান্য দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাণিজ্যমেলা।

২০১৭ সালে ঢাকার অদূরে পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ৩২ একর জায়গা নিয়ে একটি এক্সিবিশন সেন্টার তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর চীন ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে বাণিজ্যমেলা ও প্রদর্শনীয় এই স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টার নামে পরিচিত। এই এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।

এখানে আছে প্রায় ৩৩ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী স্পেস রয়েছে। এক্সিবিশন হলে মোট বুথ আছে ৮০০টি। যার প্রতিটির আয়তন ৮.৬৭ বর্গমিটার। এ ছাড়াও বাইরে ৬ একর খোলা জায়গা আছে। যেখানে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও আছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট ১টি কনফারেন্স রুম, ৬টি সভাকক্ষ, ৫০০ আসনের ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের স্থান, ১৩৯টি টয়লেট, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম ইত্যাদির সুবিধা।

এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতল গাড়ি পার্কিংয়েরও সুবিধা আছে এক্সিবিশন সেন্টারে। যার আয়তন ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। যেখানে একসঙ্গে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। এ ছাড়াও মেলার বাইরে খোলা পার্কিং স্থানে আরও ১০০০ গাড়ি রাখা যাবে।