প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

রংপুর বিভাগে ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী পাবে নতুন বই

 

 

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর বিভাগের আট জেলায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন বছরের শুরুতে ২৪ হাজার ৯৩৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই পাবে। এসব স্কুলের মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা ভার্সন, ইংরেজি ভার্সন, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং প্রাথমিক পর্য়ায়ে সরকারি প্রাথমিক, সরকারি প্রাথমিক নতুন জাতীয়করণভুক্ত, দেড় হাজার স্কুল স্থাপন প্রকল্পে স্থাপিত, পরীক্ষণ, আনন্দ, শিশুকল্যাণ, কিন্ডারগার্টেন ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা।

মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগীয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে চার কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৭৭টি বইয়ের চাহিদা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে চার হাজার ১২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৩ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের সংখ্যা দুই কোটি ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৫৫টি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার ৮১৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৯ লাখ ৬২ হাজার ৪১৩ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের সংখ্যা এক কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার ৮১২টি। প্রাথমিকের ৯টি বিষয়ের মধ্যে দিনাজপুরে তিন হাজার ১৯৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা ২২ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৪ বই, পাওয়া গেছে সাত লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৫টি। গাইবান্ধায় দুই হাজার ৭৮৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৯৫টি, পাওয়া গেছে এক লাখ ৬২ হাজার ২৬৩টি। কুড়িগ্রামে দুই হাজার ১৭১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ১৮ লাখ ৯১ হাজার ১৬৩ বই, পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮১৩টি। লালমনিরহাটে এক হাজার ৪১৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ১৩ লাখ ৯ হাজার ৭৭৮টি, পাওয়া গেছে দুই লাখ ৪৪ হাজার ২৫টি। নীলফামারীতে দুই হাজার ৭২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯১টি, পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৫২ হাজার ৮৫টি। পঞ্চগড়ে এক হাজার ২৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা সাত লাখ ৯৩ হাজার ৯৩৫টি, পাওয়া গেছে চার লাখ দুই হাজার ২৮৯টি। রংপুরে দুই হাজার ৫০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ২১ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৯টি, পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৩২৯টি। ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৯৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৪টি, পাওয়া গেছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৭৪টি। ৪৭৪টি ইবতেদায়ি মাদরাসায় তিন লাখ ২০ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৪টি।

রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোস্তাক হাবিব জানান, প্রায় শতভাগ বই হাতে পাওয়া গেছে, বাকি বই এসে যাবে। রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এখনও চাহিদা অনুযায়ী বই হাতে পাওয়া যায়নি।