শেয়ার বিজ ডেস্ক : আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটির চতুর্থ ধাপে সারাদেশে চার লাখ ৮৫ হাজার ৯২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেবে সরকার। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে গৃহহীন মানুষকে এসব ঘর দেয়া হবে। এদিন তিনি ২২ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করবেন। আগামী ২২ মার্চ ঘর প্রদান উপলক্ষে গতকাল সোমবার জেলা পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রাজবাড়ী: সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন ২৭৭টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৩৫টি, গোয়ালন্দে দুটি, বালিয়াকন্দিতে ১২০টি ও পাংশা উপজেলায় ১২০টি ঘর বিতরণ করা হবে। এ নিয়ে জেলায় এরই মধ্যে দুই হাজার ৩৯৯টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আগামী বুধবার এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজবাড়ী সদর, পাংশা ও বালিয়াকান্দি উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর আগে কালুখালি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুবর্ণা রানী সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায় ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম।
শেরপুর: শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের সভাপতিত্বে ডিসি হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৪৭৫টি, নকলা উপজেলায় ১৭৫টি এবং ঝিনাইগাতি উপজেলায় ৭৫টিসহ মোট ৭০০টি ঘর উদ্বোধনের মাধ্যমে শেরপুর জেলার তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এ পর্যন্ত জেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মধ্যমে প্রথম থেকে চতুর্থ পর্যায়ে মোট এক হাজার ৮৭০টি গৃহহীন, ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন তৃণমূল ও প্রান্তিক পরিবারকে পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা হয়েছে এবং এসব গৃহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উল্লিখিত ঘরগুলো নির্মাণে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এজেড মোরশেদ আলী, এডিসি (সার্বিক) মুক্তাদিরুল আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ১২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্র নাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজিবুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চারটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভূমি ও গৃহহীন ৫৩৩টি পরিবারের ঠাঁই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহিদ একে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোবারক হোসেন বলেন, জেলার সদর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও কাজিপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেয়ার মধ্যে চারটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জে প্রথম পর্যায়ে ৭৯৬টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৮১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৮৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও: জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন ভুইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সোলেমান আলী, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম জাহান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পলি রানী দেব, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, সাংবাদিক নবীন হাসান, মজিবর রহমান শেখ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ৫২২টি ঘর উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া ওই দিন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবেও ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ফরিদপুর: এবার গৃহহীনের তিলক মুছতে যাচ্ছে ফরিদপুরের সালথা ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার আরও ৪৪৭ পরিবারের। ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
তিনি জানান, ফরিদপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ১২৫টি, চতুর্থ পর্যায়ের ৩২২টি-সহ মোট ৪৪৭টি ঘর হস্তান্তর করা হবে সুবিধাভোগীদের মাঝে, যার মধ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ১২৫টি, মধুখালী উপজেলায় ১১২টি, বোয়ালমারীতে ১০টি, চরভদ্রাসনে ১০০টি ও ভাঙ্গায় ১০০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।