প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

রপ্তানি বিল বাকি থাকলে ঋণ পাবেন না গ্রাহক

জাহাজ নির্মাণশিল্পে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাহাজ নির্মাণশিল্পে গঠিত দুই হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে একসঙ্গে ঋণের সব অর্থ নিতে পারবেন না কোনো গ্রাহক। অন্তত তিন কিস্তিতে এই অর্থ গ্রাহকের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই অর্থ পেতে গ্রাহককে এক মাস বা ৩০ দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি কোনো প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল বাকি থাকলে ওই গ্রাহক এই তহবিল থেকে ঋণ পাবে না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একাটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এর আগে গত ২৬ মে দেশের জাহাজ নির্মাণশিল্পের উন্নয়নে দুই হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাহাজ নির্মাণশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১-এর আওতায় এ তহবিল গঠন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, এই জাহাজ নির্মাণকারী রপ্তানিমুখী ও স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ জাহাজ নির্মাণশিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের জন্য এ তহবিল থেকে ঋণ মিলবে। তহবিলটির আওতায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ মিলবে। আর ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে।

তবে এই ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধও জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বলেছে, ডক ইয়ার্ড নির্মাণ, জমি কেনা বা ইজারার বিপরীতে কেউ এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। ঋণ নিয়ে অন্য কোনো ঋণ বা ঋণের সুদও পরিশোধ করা যাবে না।

তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুনঃঅর্থায়ন নিতে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১২ বছর (৩ বছর+৯ বছর) মেয়াদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। কোনো ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে এক বছর মেয়াদে চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেবে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন সন্তোষজনক হলে তা নবায়ন করতে পারবে। তবে নবায়নের মাধ্যমে কোনো গ্রাহক সর্বোচ্চ তিন বছর এ তহবিলের আওতায় ঘোষিত সুবিধা নিতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন বিবেচনায় চলতি মূলধন বাবদ দেয়া ঋণের বিপরীতে এ তহবিলের আওতায় সুবিধার সময় কমাতে বা বাড়াতে পারবে।

পুনঃঅর্থায়নের জন্য আবেদন দাখিলের সময়সীমা কোনো নির্দিষ্ট গ্রাহকের অনুকূলে এ তহবিলের আওতায় ঋণ বা বিনিয়োগ দেয়ার জন্য তহবিলের প্রাপ্যতাবিষয়ক আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে দাখিল করতে হবে।