প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

রহিমা ফুডের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিবার্য কারণবশত বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় পরিবর্তন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী কোম্পানিটির ২৬তম এজিএম আগামী ২২ ডিসেম্বর কারখানা প্রাঙ্গণে (উত্তরা রূপসী, নারায়ণগঞ্জ) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে এ কোম্পানির এজিএম সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪৪ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৯ হাজার ৭০৩টি শেয়ার মোট ৫৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। শেয়ারদর সর্বনিন্ম ১৪২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৪৮ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৬ টাকা থেকে ১৪৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই বছর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (ইপিএস) হয়েছিল ৫২ পয়সা এবং এনএভি ছিল চার টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৬২ পয়সা ও চার টাকা ৪৬ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল এক কোটি তিন লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে এক পয়সা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি ছিল দুই টাকা ১৩ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি ছিল দুই টাকা ৩৮ পয়সা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ২০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৯ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে পাঁচ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে পাঁচ দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪০ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার।