প্রতিনিধি, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা সেকেন্ড টাইম চালু নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। সেকেন্ড টাইমার হিসেবে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না, তা এখনও জানেন না ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ নীতিমালা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে পারছেন না তারা।
এদিকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের ধরন ভিন্ন রকম হয়। তাই আমাদের প্রস্তুতিটাও ভিন্নভাবে নিতে হয়। যদি সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা থাকে, তাহলে আমরা আগে থেকেই সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারব। অন্যথায় আমরা অংশগ্রহণ করেও ভালো কিছু করতে পারব না।
এ বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী সাদিয়া বিনতে রাহী বলেন, আমরা করোনার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারিনি। আমাদের বড় ভাইয়ারাও সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরেছে, তাহলে আমরা কেন পারব না? আমাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ আছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বৈষম্য বলতে কিছু নেই। তাই আমি প্রশাসনের কাছে বলতে চাই, তারা সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে অতি দ্রুত তা অনলাইনে প্রকাশ করবে।
সেকেন্ড টাইম ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের ধরন ভিন্ন রকম হয়। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আলাদা আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। পরীক্ষা প্রায় চলে আসছে। কিন্তু আমরা এখনো জানি না, আমরা পরীক্ষা দিতে পারব কিনা।
রাশেদুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় বসতে পারব কি না, তা না জেনে প্রস্তুতি নিতে পারছি না। টেনশন নিয়ে পড়তেও মন বসে না। আবার পর্যাপ্ত সময় না পেলে আমরা পরীক্ষায় ভালো করতে পারব না। তাই সেকেন্ড টাইমের বিষয়টি আমাদের অতি দ্রুত নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আহ¡ানে সাড়া দিয়ে আমরা সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার বাধা তুলে নিয়েছিলাম। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউজিসি প্রতি বছর একটা সুপারিশমালা দেয়। এ বছরের সুপারিশমালা আমরা এখনও হাতে পাইনি। সুপারিশমালায় যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে কিছু বলা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা সেটি নিয়ে আমাদের ভর্তি কমিটির সভায় আলোচনা করব।