প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

রায়পুরে ৩ ব্রিজের জন্য গ্রামবাসীর ৪৪ বছরের অপেক্ষার অবসান

প্রতিনিধি, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) :লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৩ ব্রিজের জন্য গ্রামবাসীর ৪৪ বছরের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। গাজীনগর-আশ্রাফগঞ্জ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ডাকাতিয়া নদীর ওপর ১টি ব্রিজ, সায়েস্তানগর-চরমোহনা ইউনিয়নের আব্দুল মতিন চৌধুরী বাড়ির সš§ুখে ১টি ব্রিজ, চরমোহনা-চররুহিতা সংযোগ সড়ক ভায়া কালুবেপারী হাটসংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে এলজিইডি প্রকল্প পরিচালক এবাদত হোসেনের নেতৃত্বে একটি পরিদর্শন টিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মুন্সী, চরপাতা চেয়ারম্যান সুলতান মামুনুর রশিদ, শফিউল আজম চৌধুরী সুমন চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজী, জামাল হোসেন মেম্বারসহ এলাকাবাসী।

জানা যায়, প্রায় ১শ মিটার খালে ৪০ বছর আগে এলাকাবাসী চাঁদা উত্তোলন করে ডাকাতিয়া নদীর ওপর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করে। সে থেকে প্রতি বছরই চাঁদার টাকায় প্রয়োজনে চলে সংস্কার। কিন্তু ৪৪ বছর পরও বাঁশের সাঁকোটি পরিবতর্ন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত সে সাঁকোটি। ফলে সাঁকোটি দিয়ে সহস্রাধিক মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পারাপারের পাশাপাশি কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে বাড়তি প্রায় পাঁচ মাইল পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে চরম দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের বার বার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুরের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেট হলেও পরিমাণ মতো না হওয়ায় নদীর উপরে ব্রিজটি আর নির্মাণ হয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর ওপরে ব্রিজ করতে হলে পর্যাপ্ত বাজেট ছাড়া সম্ভব নয়।

রায়পুর ১০নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আজম সুমন জানান, কয়েক মাস আগে নদীর ওপরে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর জায়গায় ব্রিজ নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাজেট পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মুন্সী  বলেন, ‘আমি এখানে আসার অনেক আগেই ডাকাতিয়া নদীর ওপর বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ শুনেছি। বহু বছর যাবৎ  সাঁকোটি ব্যবহার হচ্ছে। গ্রামবাসীর উপকার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেব।’

রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এলাকাবাসীর দাবি ছিল এ তিনটি ব্রিজ নির্মাণ। আমি সেই দাবিগুলো আমাদের সংসদ সদস্য নয়ন এমপির সহযোগিতায় এগুলো এলজিইডির মাধ্যমে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে। সেই আলোকে জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু বিবেচনা করে এটি আগামী একনেক মিটিংয়ে উপস্থাপন হবে। তাতেই অবসান হতে পারে জনদুর্ভোগ এলাকাবাসীর।’

লক্ষ্মীপুর জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহআলম পাটোওয়ারী বলেন, ‘রায়পুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের লাখ লাখ জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ৩টি সেতু স্থাপনে আমাদের একজন প্রজেক্ট ডিরেক্টর এবাদত হোসেন সরেজমিনে ফিজিবিলিটি পরিদর্শনে আসেন। তিনি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন আসন্ন একনেক মিটিংয়ে।’