প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

রূপালী ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশ প্রদানে বিএসইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। তাই বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর কোম্পানিটি তা বিতরণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতির জন্য আবেদন করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিটিকে বোনাস ডিভিডেন্ড বিতরণে সম্মতি দিয়েছে। বোনাস ডিভিডেন্ড বিতরণে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট পরে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১০ পয়সা। আর ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮৮ পয়সা। আর ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯ টাকা ৪৩ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা। আর ওই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৫৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৫৯০ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের মোট ৪৫ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৯০ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির তিন হাজার ২২৯টি শেয়ার মাত্র ছয় বার লেনদেন হয়। গত এক বছরের মধ্যে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।