নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানিটির নাম ‘রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড’ পরিবর্তন করে ‘রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ প্রস্তাব অনুমোদন করায় আজ থেকে ডিএসইতে ‘রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি’ নামে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত ৯৮০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭৬ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৭১ টাকা ৬৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ মার্চ বেলা বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এক হাজার ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭১ টাকা ৩ পয়সা, আর ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা ৬৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১৩৪ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা ৯৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ২৯০ টাকা ৫৭ পয়সা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৪৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সরকারি তিন দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৪৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই দশমিক ৮২ শতাংশ এবং বাকি ৬ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।