প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ শতাংশ

সাপ্তাহিক বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চামড়াশিল্প খাতের কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ দশমিক ২০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৫ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৫ লাখ ১১ হাজার ২৭০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৯ টাকা থেকে ৬৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় যা ছিল ৩ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৪ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৪০ পয়সা। এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১০ টাকা ৮৩ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল তিন টাকা ৬ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৭৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি আট লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৬ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে ফাইন ফুডস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ। সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে। জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।