প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

লেনদেনের শীর্ষে আইটি ওষুধ কাগজ ও বিবিধ খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম তিন কার্যদিবস টানা পতন হলেও পরের দুই কার্যদিবসে সূচকের উত্থান হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ শেষে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও লেনদেন ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে। এছাড়া গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫৮ শতাংশের বেশি হয়েছে আইটি, ওষুধ, বিবিধ ও কাগজ খাতে। এদিকে খাত চারটি লেনদেনের শীর্ষে মধ্যে অবস্থান করছে। কিন্তু আলোচ্য খাতগুলো লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও খাতগুলো শেয়ারদরে গত সপ্তাহে পতন হয়েছে। অপরদিকে লেনদেন কম হলেও গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বিমা খাতে। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ছিল ট্যানার ও সিরামিক খাতের শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৫৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু খাতটিতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহে লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। খাতটি শেয়ারদর কমার দিক থেকে চতুর্থ স্থানে ছিল। এ খাতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৫৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ২৯৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর বিপরীতে খাতটিতে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ২৮১ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদরের পতন হয়েছে, যা সপ্তাহের সবচেয়ে বেশি দর পতনের খাত।

এদিকে গত সপ্তাহে মাত্র ১০৯ কোটি টাকা লেনদেন হলেও জীবন বিমা খাতে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতে গত সপ্তাহে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ৯০ শতাংশ। খাতটিতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে গত সপ্তাহে তৃতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের দশমিক ৯০ শতাংশ বা ২৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

অপরদিকে গত সপ্তাহে শেয়ারদর কমার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেবা ও আবাসন খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে ৮ দমমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এরপর তৃতীয় স্থানে থাকা পাট খাতের শেয়ারদর কমেছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০২ কোটি ১৮ লাখ চার হাজার টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে দুই হাজার ৮০২ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৭৭ টাকার বা ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৮৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ছয় হাজার ২৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৬ দশমিক ০৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ কমে দুই হাজার ১৯৯ পয়েন্টে নেমেছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ২০ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৭৬টির এবং ২৬৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।