নিজস্ব প্রতিবেদক:নির্ধারিত রেকর্ড ডেটের পর আজ আবার লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রেকর্ড ডেটের কারণে কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (অন্তর্বর্তীকালীন ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন যে ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থাৎ চূড়ান্তভাবে গতকাল ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিল। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ০৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল গত ২ মার্চ।
এর আগের বছরে অর্থাৎ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৮ দশমিক ৭১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৫ দশমিক ৬৭।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ১৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ছয় দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সাত দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।