রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল প্রধান সূচক ও ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক সামান্য ইতিবাচক হলেও লেনদেনে বড় পতন হয়েছে। উভয় বাজার মিলে লেনদেন কমেছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি। ভালো কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। বড় মূলধনি কোম্পানি বিশেষ করে গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, বিএটিবিসি, সিটি ব্যাংকের দরপতনে ডিএস৩০ সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ছোট মূলধনী বিশেষ করে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধি সূচকের বৃদ্ধিতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। আগের দিন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হলেও বিক্রির চাপ বেশি ছিল। গতকাল লেনদেন কম হলেও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল।
১৫ শতাংশ বা ৪৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাত। এ খাতে ৭৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে ন্যাশনাল টিউবস। কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় টাকা নব্বই পয়সা বেড়েছে। মুন্নু জুট স্টাফলার্সের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে সপ্তম অবস্থানে উঠে আসে। এরপরে বিমা খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৪২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের প্রায় ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৯০ পয়সা। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই সিরিঞ্জ। শেয়ারটির দর ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়েছে। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল। বীকন ফার্মার প্রায় ১১ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৮২ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ছয় দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেড়ে নূরানী ডায়িং ও সোয়া পাঁচ শতাংশ বেড়ে ড্রাগন সোয়েটার দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। এছাড়া স্টাইল ক্রাফটের সোয়া ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে সাড়ে আট টাকা। ৮৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে। সামিট পাওয়ারের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬০ পয়সা। বিবিধ খাতে ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতের বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের সোয় ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। সবচেয়ে বেশি দরপতন হয় ব্যাংক, আর্থিক খাতে। ব্যাংক খাতে ৬৬ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৫২ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৫৪ শতাংশ ফান্ডের দর বেড়েছে। দুই ফান্ড দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। লেনদেনের একপর্যায়ে বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই সিরিঞ্জ ও সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড।