নিজস্ব প্রতিবেদক : সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) তানভির শাকিল জয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ১ হাজার ২০৮ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তানভীর শাকিল জয়, তার মা লায়লা আরজুমান্দ বানু, স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীসহ অন্য সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা জব্দ করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। উল্লেখ্য, তানভীর শাকিল জয় আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালতের মাধ্যমে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তানভীর শাকিল জয়, তার মা লায়লা আরজুমান্দ বানু, স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীসহ অন্য সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফ্রিজ করে।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, আদালতের মাধ্যমে সিআইডির ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট তানভীর শাকিল জয়, তার মা লায়লা আরজুমান্দ বানু, স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীসহ অন্য সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফ্রিজ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তানভির শাকিল জয় প্রতারণা, জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, তানভির শাকিল জয়, তার স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, মা লায়লা আরজুমান্দ বানু, ভাই তমাল মনসুর এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে মোট ৯৬টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব হিসাব খোলার সময় থেকে হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ওই অ্যাকাউন্টগুলোয় ১ হাজার ২০৮ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, তানভির শাকিল জয় ও তার ভাই তমাল মনসুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পে টেন্ডার জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, বালু উত্তোলন ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর অবৈধ বিত্ত-সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ওঠে আসে। ওই অবৈধ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হিসেবে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে উপর্যুক্ত ব্যক্তিদের নামে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান কার্যক্রম ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট করুন





Discussion about this post