প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

শাহজালালে বিমানবন্দরে ১২টি সোনার বার জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফের স্বর্ণ আটক করেছে শুল্ক-গোয়েন্দা। রাতভর নাটকীয়তার পর গতকাল ভোরে এক যাত্রীর পেটের ভেতর থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। বারগুলোর ওজন এক কেজি ২০০ গ্রাম। প্রতিটির ওজন ১০০ গ্রাম। আটক সোনার দাম প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
শুল্ক-গোয়েন্দার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শরীফ আহমেদ নামের এক যাত্রী রেক্টামে করে অভিনব কায়দায় সোনার বারগুলো এনেছিলেন। তার পাসপোর্ট নং বিএম০৮০৬৭৩১। তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ময়নামতি বাজারে। তিনি মালিন্দ এয়ারলাইনসের ওডি১৬২ ফ্লাইটে রাত ১২টা ১৬ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীকে নজরদারিতে রাখে। কাস্টমস হলের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে চলে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার হাঁটাচলায় অস্বাভাবিকতা থাকায় শুল্ক গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরও বাড়ে। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই সোনা থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদেও তার কাছে সোনার বার থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। শুল্ক গোয়েন্দার দল রাত ৩টায় উত্তরা উইমেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যান। ডাক্তার যাত্রীর পেটে এক্সরে সম্পন্ন করান। এতে রেক্টামে তিনটি অস্বাভাবিক পোটলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এক্সরে রিপোর্ট দেখালেও যাত্রীকে রাজি করানো যায়নি। এরপর শুল্ক গোয়েন্দাদের উদ্যোগে কর্তব্যরত ডাক্তার তলপেট কেটে সোনার বের করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিলে তিনি নমনীয় হন। অপারেশন ছাড়াই বারগুলো বের করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এরপর চলে স্বর্ণ বের করার পালা। যাত্রীকে শাহজালালের কাস্টমস হলে নিয়ে এসে পানি পান করানো হয়। পরে টয়লেটে নিয়ে তলপেটে চাপ প্রয়োগ করা হয় দীর্ঘক্ষণ। কোনো কিছুতে কাজ না হলে তাকেই বলা হয় স্বর্ণ বের করে দিতে। দেওয়া হয় লুঙ্গি। লুঙ্গি পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে একে একে তিনটি কনডম বের করে আনেন ৩৩ বছরের যাত্রী শরীফ আহমেদ। বের করা তিনটি কনডমের ভেতর থেকে চারটি করে মোট ১২টি সোনার বার পাওয়া যায়।