প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

শিমুলিয়া ঘাটে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ঢল (ভিডিও)

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি সংকটে ঈদে ঘরমুখো বিড়ম্বনা চরমে পৌঁছেছে। যানবাহনগুলো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে ঈদের আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শেষ কর্মদিবস। এ কারণে দুর্ভোগ এড়াতে অনেকে আগেভাগেই নাড়ির টানে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ অপেক্ষার লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। বাস-ট্রাকসহ ভারী যান পারাপার বন্ধ থাকলেও চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম অবস্থা বিরাজ করছে শিমুলিয়া ঘাটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। রোজার মধ্যে প্রচণ্ড গরমে ঘাট ব্যবহারকারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছে না গাড়ি সহ যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে নয়টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে ফেরিতে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় শত শত যানবাহন। তবে ফেরির তুলনায় লঞ্চে ও স্পিডবোটে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন বেশি।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, এই নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান,  লঞ্চ  ও স্পিড বোট  এর যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকেই  এই লক্ষ্য করা যায়। গত সপ্তাহে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে পরিবারকেন্দ্রিক যে সব যাত্রীর রয়েছেন তারা আগেভাগেই মাওয়া  পাড়ি দিচ্ছেন। ফেরির জন্য দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে মানুষ লঞ্চ স্পিডবোটে যাতায়াত করছে।