প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: ঈদকে সামনে রেখে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে পন্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য হালকা পরিবহনসহ প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি’র) শিমুলিয়া ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো. মাহাবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের সুবিধার কথা ভেবে আজ সকাল থেকে বেগম রোকেয়া নামের আরও একটি রোরো ফেরি যোগ করা হয়েছে। এ নৌরুটে বর্তমানে মাত্র ৮ টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে ঈদের আগেই বহরে আরও ৩টি ফেরি যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। তবে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির তুলনায় লঞ্চে ও স্পিডবোটে বেশি যাত্রী পারাপার হতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, নৌরুপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ চলাচল করছে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতিদিনের মতো ফেরি পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। দিনের বেলায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে মোট ৮ টি ফেরি চলাচল করছে। এ দুই নৌরুট মিলিয়ে রাতের বেলায় ৪ টি ফেরি চলাচল করছে।