শিশুদের কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলেও কোনো কিছু বানিয়ে বলা যাবে না। এটাকে ধরে নিন সব প্রশ্নের একসঙ্গে উত্তর দেওয়ার সুযোগ হিসেবে। ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট এ-সম্পর্কিত তথ্যের বড় উৎস। তাদের বুঝিয়ে বলুন, অনলাইনে যত তথ্য পাওয়া যায়, তার সবটাই সঠিক নয়। তাই এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
শিশু নিজেকে ও তার বন্ধুদের কীভাবে রক্ষা করতে পারে, তা দেখিয়ে দিন: শিশুদের করোনাভাইরাস ও অন্যান্য রোগ থেকে নিরাপদ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়গুলোর একটি হচ্ছে নিয়মিত সঠিকভাবে হাত ধোয়া। এর জন্য তাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে পারে, এমন আলোচনার অবতারণা করার কোনো দরকার নেই। শিশুর কাছে এ বিষয়ে শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে গান বা নাচের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। হাঁচি-কাশির সময় কীভাবে হাত ভাঁজ করে কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢাকতে হয়, তা আপনি ছেলে-মেয়েদের দেখাতে পারেন। তাদের বুঝিয়ে বলতে হবে যে, যাদের এসব উপসর্গ আছে তাদের কাছে না যাওয়া এবং জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট বোধ করলে যেন তারা যেন সেটা সঙ্গে সঙ্গে জানায়।
মানসিকভাবে চাঙা রাখতে শিশুকে প্রতিনিয়ত আশ্বাস দিতে হবে: যখন আমরা টেলিভিশন বা অনলাইনে প্রচুর মন খারাপ করা ছবি দেখি, তখন মনে হতে পারে যেন সংকট আমাদের চারপাশেই। শিশুরা স্ক্রিনের ছবি ও নিজেদের বাস্তবতাকে গুলিয়ে ফেলতে পারে এবং ভাবতে পারে তারা আসন্ন বিপদের মুখে। এসব ক্ষেত্রে সম্ভব হলে খেলাধুলা ও মনোবল চাঙা করার অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি করে শিশুকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। যতটা সম্ভব তার জন্য সময় দিন, বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। আবার একটা নতুন পরিবেশে নতুন কিছু করতে গেলে তাকে সহযোগিতাও করতে হবে।
শিশুসন্তান অসুস্থ বোধ করলে বোঝাতে হবে, তার বা তাদের ঘরে থাকা বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিজের ও তাদের বন্ধুদের জন্য বেশি নিরাপদ। তাদের বোঝাতে হবে, এই সময়টা কঠিন (ভীতিকর, এমকি বিরক্তিকরও) হবে, কিন্তু এই নিয়মগুলো মেনে চললে সবাই নিরাপদ থাকবে।
ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে