প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

শুরু হলো স্বাধীনতার পথে যাত্রা

কাজী সালমা সুলতানা: ষাটের দশক থেকে পাকিস্তানের পরাধীনতার শাসন, শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তির আন্দোলনের ধারাবাহিক সংগ্রাম একাত্তরের মার্চ মাসে এক ভয়াবহ সশস্ত্র যুদ্ধে রূপ নেয়। ১ মার্চ থেকে ঢাকার পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই মাঝে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকায় আসেন।

১৬ মার্চ থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। একদিকে আলোচনা চলতে থাকে, অপরদিকে পাকিস্তান থেকে সমরাস্ত্র আনা হয়। পাকিস্তান থেকে সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়ে আসা হয় ঢাকায়। একই সঙ্গে ইয়াহিয়া খানের চলে বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান অতি গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইয়াহিয়া খানের গাড়ির কনভয় স্টাফ হাউসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অন্ধকার নামতেই সেই বহর আবার ফেরত গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট হাউসের দিকে। কিন্তু সেই বহরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ছিলেন না। গাড়িতে তার জায়গায় বসেছিলেন ব্রিগেডিয়ার রফিক।

পাকিস্তানি শাসক ও সেনা কর্মকর্তারা ভেবেছিল, এভাবে শেখ মুজিব এবং অন্যদের ধোঁকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। শেখ মুজিব হয়তো ভাববেন যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়া খানের গতিবিধির সবটুকুই জানতেন।

স্বাধীনতার প্রশ্নে বাঙালি এক হয়েছে, তাই এ কাজটি বঙ্গবন্ধুর জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের প্রতি পাক সেনাবাহিনীর আচরণ বিশেষত সৈয়দপুর, রংপুর ও চট্টগ্রামে জনতার প্রতি সেনাবাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ বঙ্গবন্ধুকে আরও সতর্ক করে তুলেছিল।

২৫ মার্চ দিবাগত রাতে অপারেশন সার্চলাইট নামে যখন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নির্বিচারে বাঙালির ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করতে থাকে। এমন সময় ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআরের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

মুক্তিযুদ্ধে ইপিআর বইতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী আরেফ-সহ কয়েকজন ছাত্র পিলখানার দুই নম্বর গেটে তৎকালীন ইপিআর সুবেদার মেজর (সিগন্যাল) শওকত আলীর (পরে শহিদ হন) কাছে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি হস্তান্তর করেন। শওকত আলী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি পিলখানাস্থ ইপিআর ওয়ারলেসযোগে টেলিগ্রাফিক ম্যাসেজের মাধ্যমে চট্টগ্রামে কোম্পানি হেডকোয়ার্টার্সে পাঠান। চট্টগ্রামে ইপিআর এ কর্তব্যরত সিগন্যাল ম্যান মে. আবুল খায়ের ম্যাসেজটি গ্রহণ করেন। তিনি সেটা চট্টগ্রাম ইপিআরে দায়িত্বরত বাঙালি অ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপটেন রফিকুল ইসলামের (পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন) কাছে হস্তান্তর করেন। 

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবেÑ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান।  ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

সেই সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন সিদ্দিক সালিক। পরে তিনি ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ শিরোনামে একটি বই লেখেন। এ বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মুজিবের গোয়েন্দারা গোটা খেলাটা বুঝে গিয়েছিল। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিরাপত্তা দলে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ আর চৌধুরী দেখে ফেলেছিলেন যে, একটা ডজ গাড়িতে ইয়াহিয়া খানের মালপত্র বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। কর্নেল চৌধুরী তা শেখ মুজিবকে সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার সময়ে ইয়াহিয়া খান যখন বিমানে ওঠার জন্য এয়ারফোর্স গেট দিয়ে ঢুকছেন, তখন নিজের দপ্তরে বসে গোটা দৃশ্যটা দেখছিলেন উইং কমান্ডার এ কে খন্দকার। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ফোন করে খবরটা শেখ মুজিবকে জানিয়ে দেন।’

সিদ্দিক সালিক লিখছেন, ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল থেকে এক বিদেশি সাংবাদিক আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন, ইয়াহিয়া খান ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন, এই খবরটা আমি নিশ্চিত করতে পারি কি না!’

ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করায় মুজিব-ইয়াহিয়ার আলোচনার পরিণাম কী হবে, তা নিয়ে ওইদিন দুপুরে মেজর জেনারেল খাদিম হুসেইন নিজের দপ্তরে বসে ভাবছিলেন। হঠাৎই সামনে রাখা টেলিফোনটা বেজে ওঠে। লাইনের অপর প্রান্তে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান।

টিক্কা খান সরাসরি বলেছিলেন, ‘খাদিম, আজই করতে হবে কাজটা।’

খাদিম এই নির্দেশের জন্যই অপেক্ষাই করছিলেন। নিজের কর্মচারীদের সঙ্গে সঙ্গেই ওই আদেশ পালনের কথা জানিয়ে দেন তিনি।

সিদ্দিক সালিক লিখছেন, ‘আমি দেখছিলাম ২৯ ক্যাভালরির রেঞ্জাররা রংপুর থেকে আনানো পুরোনো এম-২৪ ট্যাংকগুলো অয়েলিং করছিল। ক্র্যাকডাউনের সময় ঠিক করা হয়েছিল ২৬ মার্চ রাত ১টায়। আশা করা হচ্ছিল, ততক্ষণে ইয়াহিয়া খান করাচিতে পৌঁছে যাবেন।’ ২৫ তারিখ রাত প্রায় সাড়ে ১১টার সময়ে ঢাকার স্থানীয় কমান্ডার টিক্কা খানের কাছে অনুমোদন চেয়েছিলেন ক্র্যাকডাউনের সময়টা এগিয়ে আনতে। কারণ তার কাছে খবর আসছিল যে, বাঙালিরা ব্যাপক প্রতিরোধের জন্য তৈরি হচ্ছে। সেই প্রতিরোধ প্রস্তুতি হওয়ার আগেই যাতে আক্রমণ করা যায়, সেজন্য সময় এগিয়ে আনার কথা ভাবছিলেন তিনি।

সিদ্দিক সালিক লেখেন, ‘সকলেই ঘড়ির দিকে তাকালাম। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে বহনকারী বিমান তখন সম্ভবত কলম্বো আর করাচির মাঝামাঝি হবে। জেনারেল টিক্কা খান আদেশ দিলেন, ববিকে বলো যতটা সম্ভব দেরি করতে। রাত সাড়ে ১১টায় পুরো শহরের ওপরে পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করেছিল। অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়েছিল।’ সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনার জš§ দিয়েছিল।

সৈয়দ বদরুল আহসান নিজের বই ‘ফ্রম রেবেল টু ফাউন্ডিং ফাদার’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবের বড় মেয়ে হাসিনা জানিয়েছিলেন, গুলির আওয়াজ শুরু হতেই মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে খবর পাঠিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেন।’ 

রাত প্রায় ১টার সময় কর্নেল জেড এ খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটা দল ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে পৌঁছে। গেটে পৌঁছেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চালাতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক স্থানীয় পুলিশ কর্মী সেই গুলিতে মারা যান। দোতলায় বঙ্গবন্ধু স্ত্রী ও সন্তানদের একটা ঘরে বন্ধ করে বাইরে থেকে আটকিয়ে দেন এবং যতটা সম্ভব জোরে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, ‘ফায়ারিং বন্ধ করো।’

প্রখ্যাত সাংবাদিক বি জেড খুসরু তার বই ‘মিথস্ অ্যান্ড ফ্যাক্টস বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার’ বইয়ে লিখেছেন, ‘গুলি বন্ধ হওয়ার পরে কর্নেল খান ঘরের ভেতরে ঢোকেন। নিচে কাউকে পাননি তিনি। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় যান। মুজিব একটা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেখ মুজিবকে কর্নেল আদেশ করেন তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য। তিনি জানতে চেয়েছিলেন পরিবারকে বিদায় জানিয়ে আসতে পারেন কি না। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি।’

মি. খুসরু আরও লিখেছেন, ‘সেনাবাহিনীর গাড়িতে চড়ার সময়ে শেখ মুজিবের খেয়াল হয় যে, তিনি পাইপটা ফেলে এসেছেন। কর্নেল আর শেখ মুজিব আবারও ভেতরে গিয়ে পাইপ নিয়ে গাড়িতে ফেরত আসেন। কিছুক্ষণ পর শেখ মুজিবের মনে হয় যে, তার হয়তো কোনো ক্ষতি করা হবে না। কর্নেলকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আসার আগে আমাকে জানানো হলো না কেন? কর্নেল উত্তর দিয়েছিলেন, সেনাবাহিনী আপনাকে দেখাতে চেয়েছিল যে, আপনাকে গ্রেপ্তারও করা যেতে পারে।’

জেড এ খান ‘দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ’ বইতে লিখেছেন, ‘শেখ সাহেবকে গ্রেপ্তার করার পর ৫৭ ব্রিগেডের মেজর জাফর ওয়ারলেস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, ‘বিগ বার্ড ইন কেজ, স্মল বার্ডস হ্যাভ ফ্লোন।’ মি. খান লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল টিক্কা খানের কাছে ওয়ারলেসে জানতে চেয়েছিলাম, ‘আপনি কি চান শেখ মুজিবকে আপনার সামনে হাজির করাই?’ তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি তাঁর মুখ দেখতে চাই না।’

সিদ্দিক সালিক লেখেন, ‘ওই রাতে মুজিবের সঙ্গে থাকা সব পুরুষ মানুষদের আমরা গ্রেপ্তার করে এনেছিলাম। পরে চাকরবাকরদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। আদমজী স্কুলে সবাইকে ওই রাতে রাখা হয়েছিল। পরের দিন ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিন দিন পরে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আমার বন্ধু মেজর বিলালের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, গ্রেপ্তার করার সময়েই মুজিবকে খতম করে দিলে না কেন? বিলাল বলেছিল, জেনারেল টিক্কা খান ব্যক্তিগতভাবে তাকে বলেছিলেন, ‘যে কোনো উপায়ে শেখ মুজিবকে জীবিত গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ওই রাতেই এক পাকিস্তানি সেনা ক্যাপ্টেন ওয়ারলেসে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল আর জগন্নাথ হল থেকে কড়া প্রতিরোধ আসছে। সিদ্দিক সালিক লিখছেন, ‘এক সিনিয়র স্টাফ অফিসার আমার হাত থেকে ওয়ারলেস সেটটা কেড়ে নিয়ে জানিয়েছিলেন, তাদের শেষ করতে তোমার আর কত সময় লাগবে? চার ঘণ্টা! … যত্তসব… তোমার কাছে কী অস্ত্র আছে? রকেট লঞ্চার, রিকয়েলস গান, মর্টার… সবকিছু একসঙ্গে চালাও… দু’ঘণ্টার মধ্যে পুরো এলাকা দখল করে রিপোর্ট করো।’

৪টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পাকিস্তানি সেনারা দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভাবনাকে পাকিস্তানি সেনারা দখল করতে পারেনি। সকালে ভুট্টোকে ঢাকায় তার হোটেল থেকে উঠিয়ে নিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিমানে ওঠার আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেছিলেন, ‘ধন্যবাদ, পাকিস্তান বেঁচে গেল।’

পরদিন সকালে সিদ্দিক সালিক ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়েছিলেন তল্লাশি চালাতে। কিছুই পাওয়া যায়নি সেখানে, শুধু রবীন্দ্রনাথের একটা ফ্রেমে বাঁধানো ছবি ছাড়া। ফ্র্রেমের কাচটা বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়েছিল, কিন্তু ছবিটা একদম ঠিক ছিল।

এদিকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিবকে মিয়াওয়ালি জেলের এক সেলে বন্ধ করে রাখা হয়। রেডিও তো দূরের কথা, খবরের কাগজও দেয়া হতো না তাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রায় ৯ মাস তিনি সেখানে ছিলেন। ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চলা এক সেনা ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

পাকিস্তানি বাহিনী নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যে বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, সেই বাঙালিই ৯ মাসে পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। বিভীষিকাময় এই ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ হারায় এবং পাঁচ লাখ নারী ও শিশু নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যার শিকার হয়। যে নেতার ডাকে লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই নেতা বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি স্বাধীন দেশ, একটি স্বাধীন জাতি, একটি জাতিরাষ্ট্রÑবাংলাদেশ।

                রাজনৈতিক কর্মী

ংধষসধ১৫ধঁমঁংঃÑমসধরষ.পড়স