নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা হোসনে আরা আজিজ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সিটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা হোসনে আরা আজিজের কাছে কোম্পানিটির মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৫ শেয়ার রয়েছে। এ থেকে তিনি ৫ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করবেন। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ডিএসইর মাধ্যমে পাবলিক মার্কেটে এ শেয়ার বিক্রি করবেন।
উল্লেখ্য, কোম্পানির মোট ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৪ দশমিক ৭৭ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৬ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার। কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২০০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৪২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১২ পয়সা কমেছে দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের। তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১৬ পয়সা। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস কমেছে ১২ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৫৮ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৯৬ পয়সা।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা।
এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ২৮ পয়সা। এর আগের হিসাববছরে কোম্পানিটি সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ২৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ এনএভিপিএস ছিল ২৯ টাকা তিন পয়সা। এছাড়া হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা।