প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ সি পার্ল বিচ রিসোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৪১টি শেয়ার ১১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সম্প্রতি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড শামিম এন্টারপ্রাইজ (প্রাইভেট) লিমিটেডের শেয়ার অধিগ্রহণে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) তারিখ নির্ধারণ করেছে। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইজিএম করবে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ এপ্রিল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ১৬০টি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ২১ শতাংশ বা ১২ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩১৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৯২টি শেয়ার ৪ হাজার ৬৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩০৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩২৮ টাকায় ওঠানামা করে।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ছাড়া শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১০ টাকা ৬৩ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ৬৪ পয়সা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৬ দশমিক ০৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৭ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৭টি শেয়ার ৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬৮ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার ৬৭ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে উঠে আসে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৯টি শেয়ার ৮৮ কোটি ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। আর লেনদেনের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।

গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৪৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪১২টি শেয়ার ৬৬ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়েছে।